জান্নাত আরা ঝর্নার ধর্ষণ মামলা নিয়ে তোলপাড় কাটতে না কাটতেই নরাযণগঞ্জ শহরে এবার একজন মুক্তিযোদ্ধার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শন ও একই সাথে মুসলিম হওয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়েছে ।
এমন ঘটনা গত তিন দিন ধামাচাপার পর এবার সদর মডেল থানা পুলিশ আসামী রামু চন্দ্র বর্মণ কে গ্রেফতার করে মামলা গ্রহণের পর আদালতে সোপর্দ করেছে ।
একই সাথে ভিকটিম সানজিদা বেগমের (ছদ্মনাম) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২২ ধারা ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করতে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
ঘটানর বিবরণে মামলার বাদী ধর্ষিতা কিশোরীর মা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আক্তার বেগম (ছদ্মনাম) জানান, শহেরর দেওভোগ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস কালীন সময়ে স্বর্ণালংকার ক্রয় ও প্রয়োজনে বন্দকী টাকার জন্য শহরের কালীরবাজারের দুবাই জুয়েলার্সের মালিক তপু বর্মণের ভাই রামু চন্দ্র বর্মন ওরফে রাম বর্মণের সাথে পরিচয় হয় । সেই পরিচয়ের সুযোগে টাকা লেনদেন ও স্বর্ণ ক্রয় বিক্রয়ের লক্ষ্যে প্রায়ই বাসায় যাতায়াত ছিলো রাম বর্মনের ।
গত ২৮ এপ্রিল বুধবার দুপুরে রামু চন্দ্র বর্মন বাসায় উপস্থিত হয়ে মামলার বাদী আক্তার বেগমের খোজ করেন। মেয়ে একা পেয়ে এবং মা ঢাকায় গেছেন এমন সংবাদে নানাভাবে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বেগমের (ছদ্মনাম) কে নানভাবে ভয়ভীতি এবং মুসলিম হয়ে বিয়ে করবে বলে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে । সানজিদা বেগমের (ছদ্মনাম) ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারী রামু বর্মণ ওরফে রাম বর্মণ পালিয়ে যায় ।
এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে শুক্রবার ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় রামু বর্মণ কে শহরের কালীরবাজারের দুবাই জুয়েলার্স থেকে গ্রেফতার করে । রামু বর্মণ ওরফে রাম বর্মন গ্রেফতারের পর ঘটনা থানায় বসে মোটা অংকের টাকায় মীমাংশা করতে সুবল দাস, তপু বর্মণ, জনি বর্মণসহ আরো কয়েকজন রাভভর ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর মা মামলার বাদীকে নানাভাবে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহারের চেষ্টা চালায় । আর এই ঘটনার নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেঢ়ে যাচ্ছে কালীরবাজারের অঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক কাজল কর্মকার । নানাভাবে তদ্বির চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে এবার আদালতে আপোষ মীমাংমার চেষ্টাও চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উটেছে ।
এমন রামু বর্মণের ধর্ষনের ঘটনা ছাড়াও কালীর বাজারের অঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক কাজল কর্মকার নিজেই এমন ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়ে মোটা অংকের টাকায় ধামাচাপা দেয় বলেও চাউর রয়েছে পুরো স্বর্ণপট্টিতে ।
স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মোস্তাফিজুর রহমান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, যেহেতু ধর্ষনের ঘটনা সেহেতু থানায় কোন মীমাংশার প্রশ্নই উঠে না । মামলা নিয়েছি । আসমী চালান করা হয়েছে আদালতে । ভিকটিম স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য ।
Discussion about this post