স্টাফ রিপোর্টার :
আমি থানায়ই বসে থাকবো । দেখি ওসি সাহেব কতক্ষন থানায় না এসে থাকতে পারেন । আমার সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল্লাহ কায়সার ও ডা: জাহিদুর রহমান য়োগ দেয়া কি তাদের অপরাধ হয়েছে । তাদেরকে ধরে আনার কারণ কি ? এভাবেই নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের (সদর-বন্দর) ঐক্যফ্রান্টের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম সংবাদকর্মীদের সাথে মন্তব্য করেন ।
তাৎক্ষনিকভাবে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কিংবা পুলিশের কোন কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও থানার ডিউটি অফিসার প্রবীর কুমার বলেন, এ বিষয়ে আমার কি মন্তব্য আছে ।
এর আগে বুধবার ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় নারায়ণগহ্জ থানা সংলগ্ন দাদুর দপ্তর হিসেবে পরিচিত নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসএম আকরাম এসব নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে নানা বিষয় তুলে ধরেন । সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা পুলিশের হাতে আটক ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল্লাহ কায়সার ও ডা: জাহিদুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এস এম আকরাম সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমাকে অনেকভাবে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করছে। মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আর যারা বাইরে আছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের জামিন দিচ্ছে না। আর যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না তারা আমার সাথে কাজ করতে পারছে না গ্রেপ্তার হবার আশঙ্কায়।
তিনি আরও বলেন, রিটার্নিং অফিসার ও সেনাবাহিনীকে আমি জানিয়েছি। তারা এখনও কিছু জানায়নি। আমি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছি। এছাড়া অন্যান্য কর্তৃপক্ষকেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
এ সময় তাঁকে প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্যে পাচ্ছেন কিনা এবং প্রশাসনের ওপর আস্থা আছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার তাদের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। তারা আমার অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে যে আমরা তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবো এটা ঠিক না।
৩০ ডিসেম্বরের পর ঐক্যফ্রন্টের সাথে এসএম আকরাম স্থায়ী থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঐক্যফ্রন্টের সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সার জানান, উনি ঐক্যফ্যন্টের প্রার্থী। তিনি নির্বাচনের পরেও ঐক্যফ্যন্টের সাথে থাকবেন এবং ঐক্যফ্রন্টের হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করবেন।
নির্বাচনী প্রচারণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন প্রচারণা চলছে স্থানীয়ভাবে হচ্ছে। তবে ব্যাপকভাবে প্রচারণাটা চালানো হচ্ছে না। আপনাদের বললে আপানারা বুঝবেন যে একটা সময় আমার সাথে ৬০০ ওপরের কর্মী, এলাকাবাসী যোগ হয়েছিলো। আমি শেষবার আলীরটেকে প্রচারণায় গেলাম তখনও আমার সাথে প্রায় একশ থেকে দেড়শ জন কর্মী আমার সাথে ছিলো।
কিন্তু তাদেরকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো। তখন আমি একদম একা হয়ে পড়েছিলাম। তারপর পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
আমার যদি পাঁচ জন নেতাকর্মীর থাকতো বা থাকতে পারতো তাহলে আমি কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করতাম।
কিন্তু আমাকে এখন এমন কিছু কাজ করতে হচ্ছে যা তৃতীয় ও চতুর্থ সারির নেতাকর্মীদের করতে পারতো। সেহেতু আমাকে আগামী দু’দিন অফিসে বসে কাজ করতে হবে। আপনারা বিশ্বাস রাখেন এবার ভোট বিপ্লব হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকের এক পশ্নের উত্তরে বলেন, শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটা শেষেই দেখবেন। আর শেষ কথার শেষ হল আমরা সবাই মারা যাব। ওই যে বলে না সাতারের ওপরে কোনো পানি নেই।
Discussion about this post