এনএনইউ রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি নির্বাচনী আসনে সহিংসতা, প্রার্থীদের ভোট বর্জন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় বিরতিহীনভাবে শুরু হওয়া ভোট শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এখন চলছে ভোট গণণা।
রোববার নির্বাচন চলাকালে জেলায় সহিংসতায় তেমন কোন অভিযোগ এ পর্যন্ত খবর পাওয়া গেলেও ভোটকেন্দ্র দখল করার াভিযোগ ছিরো ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের মুখে । এছাড়া ভোট কারচুপি, অনিয়ম, পোলিং এজেন্টদের মারধর, ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন শেষ হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগে নারায়ণগঞ্জ ৩ (সোনারগাঁ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
যদিও নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন । তবে ভোটের পরিবেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া সোনারগাঁ উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাত নানা অভিযোগ তুলেছেন ।
ভোট গ্রহণের শুরুতে ভোট নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী, সদর আসনের সংসদ সদস্য লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমান, ঐক্যফ্রন্টের সনতা সাবেক সংসদ সদস্য এসএম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমানসহ জেলার সকল প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় ভোট প্রদান করেন। ভোট দেওয়া শেষে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা বলেন, মানুষ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ নৌকা ও লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবে। মহাজোট এবং নৌকার জয় সুনিশ্চিত।’
অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের অনেকেই ভোট প্রদান করলেও তারা সহিংসতা, প্রার্থীদের ভোট বর্জন, অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে মহাজোট প্রার্থীরা কেন্দ্র দখল করে ভোট দিচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকে সারা দিন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার পৃথকভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করেছেন ভোটের চিত্র। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে । জেলার কোথাও কোন সহিসংতার অভিযোগ পশাসনের কাছে কেউ করে নাই । আমরাও এমন কোন অভিযোগ পাই নাই বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের ডিআইও টু ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ রুমন।
Discussion about this post