শহরের চাষাড়াস্থ সমবায় মার্কেটের নীচ তলায় একজন মা ও তার পুত্র পন্য না কেনার কারণে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী বলে গণপিটুনী দেয়ার হুমকি দিয়ে লংকাকান্ড ঘটায় কয়েকজন দোকানী ও সেলসম্যানরা। এমন ঘটনায় প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও তিন ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতনের শিকার আবদুর রহিম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে সদর থানার দারোগা শাফিউল আলম, অভিযোগ হয়েছে এখনো আমি দেখি নাই । অভিযোগ দেখে তদন্ত মোতাবেক উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায় , ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার রাত ৯টার পর শহরের সমবায় মার্কেটের সামনে কয়েকজন দোকান মালিক ও কর্মচারী মিলিত হয়ে একজন মা ও তার পুত্রকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে । অনেকের সাথে এমন ঘটনার প্রতিবাদ করলে অভিযোগ দাখিলকারী আঃ রহিমকে সমবায় মার্কেটের সমানে থেকে টেনে হিচরে মার্কেটের ভিতরে তালাবদ্ধ করে প্রায় তিন ঘন্টা আটকে রাখে নির্যাতন চালায় দোকান মালিক ও কর্মচারীরা ।
এই ঘটনায় রোববার রাতে সমবায় মার্কেটের ১০/১৫ জন নাম না জানা দোকান মালিক ও কর্মচারীদের আসামী করে অভিযোগ দায়ের করে আবদুর রহিম ।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে হামলার শিকার আহত আবদুর রহিম জানান, আমাকে আটকে রেখে মারধর করার পর লোকজন ছাড়িয়ে আনার সময় সমবায় মার্কেটের অনেকেই বলেছেন এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার তারা করবেন । সোমবার অসুস্থ অবস্থায় সারাদিন কারো কোন ওই আশ্বাসের কোন সাড়া না পেয়ে রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করেছি ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে সমবায় মার্কেটের দ্বিতীয়/ তৃতীয়/ চতুর্থ তলার অনেকে ব্যবসায়ী বলেছেন, সমবায় মার্কেটের নীচ তলায় গত শনিবার একজন মহিলা ক্রেতাকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলো মূলতঃ ধানসিড়ির কসমেটিকসের দোকান থেকে ।
আর এই ঘটনার নেপথ্যে এবং প্রকাশ্যে হামলার সকল নাটের গুরু সুমন কসমেটিকসের দোকানদার বরিশাইল্ল্য সুমন । এই বরিশাইল্লা সুমন নানা অপকর্ম করে কিছু অর্থ উপার্জনের পর চাষাড়ায় নানা ধরণের অপরাধ চক্রের সাথে জড়িত । বরিশাইল্লা সুমন, রাসেল , হাসান ও নাঈমসহ তাদের একটি চক্র এই হামলা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে । প্রায় প্রতিদিন এই সুমন, রাসেল, নাঈম, হাসান ও তাদের সহযোগিরা নারীদের সাথে অশোভন আচরণ ছাড়াও ফুটপাত দিয়ে চলাচলরত নারীদের নানাভাবে ইভটিজিং করেই যাচ্ছে । এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে এমন লংকাকান্ডের পর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তরু নামের এক দোকান মালিকের নাম জড়িয়ে দেয় হামলাকারী চক্র । অথচ এই তরু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মার্কেট কমিটির সকলকে আহবান জানিয়েছেন ।
এমন অশোভন আচরণের খবর পুরো মার্কেটের লোকজন ও কমিটির সকলেই জানলেও কেউ এ বিষয়ে কোন টু-শব্দ করতে দেখা য়ায় নাই । যার কারণে সমবায় মার্কেটের দূর্ণাম সর্বত্র ছড়িয়ে পরেছে ।
মার্কেটের গেইট বন্ধ করে প্রতিবাদকারী আঃ রহিম নামের এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সমবায় মার্কেটের সেলসম্যান/দোকানী নামধারীদের অনেকেই । এমন ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে মার্কেটের সাভাপতি খাজা ওবায়েদ উল্লাহ টিপু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন সুষ্ঠু সমাধান করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন আহতদের । এমন আশ্বাসের পর আর কোন ব্যবস্থা নেন নাই সমাবায় মার্কেটের সভাপতি খাজা ওবায়েদ উল্লাহ টিপু ।
আরো পড়ুন : ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের আস্তানা চাষাড়ার সমবায় মার্কেট !
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার রাত ৯ টার সময় অজ্ঞাতনামা এক মা তার ১৪/১৫ বয়সী পুত্রকে সাথে নিয়ে সমবায় মার্কেটের নিচ তলায় কেনাকাটা করতে এসে দরদামে মিল না হওয়ায় পন্য না কিনে চলে যাবার সময় ওই নারীকে গালিগালাজ করে কয়েকজন সেলসম্যান। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মায়ের সাথে থাকা তার পুত্র। ফের তর্ক বিতর্ক । এক পর্যায়ে মা ও তার ছেলে চলে যাবার সময় সেলসম্যান ও কয়েকজন ( সুমন, রাসেল, হাসান ও নাইমসহ আরো কয়েকজন) দোকান মালিক ফের গালিগালাজ করার এক পর্যায়ে “চলে যা নইলে ছিনতাইকারী বলে পিটিয়ে পুলিশে দিয়ে দিব“ বলে মন্তব্য করে । এমন মন্তব্যে কয়েকজন পথচারীর সাথে ওই মা ও তার ছেলে ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারী আঃ রহিমকে মার্কেটের গেইট বন্ধ করে সন্ত্রাসী কায়দায় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সমবায় মার্কেটের সেলসম্যান ও দোকানদারদের অনেকেই ।
Discussion about this post