বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে চারটি ড্রেজারসহ বিশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সাথে বালু, বাঁশ ও ড্রেজারসহ জব্দকৃত অবৈধ মালামাল ৬ লাখ ১০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নের্তৃত্বে রবিবার সোনারগাঁও উপজেলার কুতুবপুর ও বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকায় দিনব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটির ভ্রাম্যমান আদালত।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে অবৈধভাবে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন যাবত বালুর ব্যবসা করে আসছিল। এসব বালু নিলাম তুলে ১ লাখ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত চারটি অবৈধ ড্রেজার নিলামে তুলে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় এবং নদীর তীরে নির্মিত অবৈধ বাঁশের জেটির সরঞ্জাম ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
তিনি জানান, একই সাথে ৪টি ড্রেজার, দুইটি পাকা স্থাপনা, দুইটি টিনশেড ঘর, ৫ শতাধিক ফুট ড্রেজারের পাইপ ও নদীর দুই হাজার বর্গফুট দখল করে গড়ে ওঠা বাঁশের জেটিসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে নদীর বিপুল পরিমান জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দরে যুগ্ন-পরিচালক মাসুদ কামাল জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদী দখলমুক্ত করতে শীতলক্ষ্যা নদীতে টানা চারদিন চলবে এই উচ্ছেদ অভিযান। নদী দখলকারী যতো প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। নদী দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post