নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শনিবার ২ মার্চ । সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহর ছিলো অন্যান্য দিনের চাইতে ব্যতিক্রম ।
বরাবরের মতো সকাল ১০টার মধ্যেই শহরের সর্বত্র কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসলেও আজ ছিলো ভিন্ন চিত্র । একেবারেই ফাকা নগরীতে পুলিশের সরব উপস্থিতি ছাড়াও চাষাড়া চত্তরে পুলিশের রেকার ৭, জলকামান ও সাজোয়া যান যাকে পুলিশী ভাষায় বলা হয় এপিসি অর্থাৎ আর্মড পুলিশ কার । যার সাহায্যে অনেক বড় শক্তিশালী হামলাকে প্রতিরোধ করার ক্ষতা রাখে।
নারায়ণগঞ্জ শহরে এমন অবস্থা দেখে কৌতুহলী নগরবাসী পুলিশকে জিজ্ঞেস করতে ভয় পেয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে এমন সাজোয়া যান সম্পকে জানতে নানাভাবে যোগাযোগ করেন সাধারন নগরবাসী ।
চাষাড়া থেকে দুপুরের মধ্যে সাজোয়া যান, জলকামান ( যার মধ্যে গরম পানি, ঠান্ডা পানি, রঙ্গিন পানি রয়েছে) শহর পদক্ষিন করে ২নং রেল হগইট এলাকার সমাবেশস্থলের পাশেই অবস্থান নেয় ।
এ বিষয়ে কথা বলে সাজোয়া যান ও জল কামানের পরিচালনাকারীদের (পুলিশ সদস্য) জিজ্ঞেস করে জানা যায়, যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বক্তব্য শুরু করার পর শনিবার বিকেল ৪ টা ৪৮ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সরকারী জীপ গাড়ী নিয়ে চাষাড়া থেকে ডিআইটিমূখী আসেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। গাড়ীতে কালো গ্লাস থাকায় জানা যায় নাই কে আছেন পুলিশের জীপটিতে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ীটি সমাবেশ চলাকালীন পুরোটা সময় শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
শামীম ওসমানের জনসভাকে কেন্দ্র করে এতো নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে সদর মডেল থানা পুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, শামীম ওসমানসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর চাষাড়া বোমা হামলা হয়েছিল সেটি কি তিনি জানতেন ? তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি ।’এত বড় একটি জনসভা । জনসভায় নিরাপত্তা দিতে এবং যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।’ জলকামান, এপিসি সাজোয়া যানসহ পুলিশ সকল ধরণে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই এমন ভ্রবস্থা নেয়া হয়েছে ।
Discussion about this post