স্টাফ রিপোর্টার :
বুধবার মধ্যরাত ১১ টা ৩২ মিনিট। নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অমিত গুরুতর অসুস্থ্য আরজু (৫৫) এর অবস্থা অচেতন ও পালস্ পাওয়া না যাওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় এম্বুলেন্স কোথায় ? কোথাও নাই সরকারী এম্বুলেন্স ও ড্রাইভার দুলাল। এম্বুলেন্সসহ ড্রাইভারের খোজ পাওয়া গেলো খোজ পাওয়া গেলো শহরের প্রেসিডিন্ট রোড এলাকার মেডিপ্লাসের সামনে।
এম্বুলেন্স এখানে কেন এমন প্রশ্নে দুলাল জানায় রোগি আছে তাই । দুলালকে থামিয়ে দিয়ে মেডিপ্লাসের দারোয়ান অকপটে অনেকের উপস্থিতিতে জানায় ডাঃ নাসিরকে তো এই সময় প্রতিদিন ই নিয়ে ঢাকা যায় দুলাল। নানাভাবে আকার ঈঙ্গিতে দুলাল এই দারোয়ানকে থামানোর চেষ্টা করলেও একটানা বলেই ফেলেন খানপুর হাসপাতালের সাবেক আরপি ডাঃ নাসির প্রায় ৫/৭ বছর যাবৎ প্রায় প্রতিদিন মধ্যরাতে এই গাড়ী নিয়েই ঢাকার মিডফোর্ডে যায়।
এমন ঘটনা আড়াল করতে ড্রাইভার দুলাল নানাভাবে অপচেষ্টার পর প্রতিবেদক দূরে চলে যাবার পর মিটফোর্ট হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক নাসিরুল ইসলাম এক দৌড়ে মেডিপ্লাস ক্লিনিক থেকে নেমে এম্বুলেন্সে উঠার সময় আবার প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়েই বলতে থাকে, “সাংবাদিকরা লেখলে কি হয় ! লিখে লিখুক দেখি আমাদের থামায় কেমনে। এই ঘটনাতো এমপি সাহেরও জানে !”
এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবেই নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপতালের আরপি ডাঃ সামছুদ্দোহা সঞ্চয়ের সাথে একাধিকবার এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগায়োগ করলেও তিনি ফোন গ্রহণ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।
নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডাক্তার জাহাঙ্গির আলম নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, আমি তো বিষয়টি জানি না। খোজ খবর নিয়ে দেখি কি করা যায় । হাসপাতালের সাবেক আরপি এবং বর্তমানে মিডফোর্ট হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক নাসিরুল ইসলাম এভাবে সরকারী এম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারে না ব্যক্তিগত কাজে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে অনেকেই বলেন, এই চক্রটির স্বার্থে আঘাৎ লাগলে কি ভয়ংকর হতে পারে তা কেউ জানেন না । ডাঃ নাসিরুল ইসলামের দুটি ব্যক্তিগত গাড়ী থাকলেও এই গাড়ী ব্যবহার না করে সরকারী এম্বুলেন্স দীর্ঘদন যাবৎ ব্যবহার করে যাচ্ছে । যাহারা রোগীর সকালের নাস্তার পাওরুটি, কলা ও সেদ্ধ ডিম চুরি করতে পারে তাদের দ্বারা এম্বুলেন্স ব্যবহার করা স্বাভাবিক বিষয় । এই চক্রের হোতারা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের এঁটো খাবার কুড়িয়ে আনতে পারে তারা আর যাই হোক ভালো কিছু আশা করা যায় না। এই চক্রটির অপরাধ থামাতে হলে যে এমপির নাম ব্যবহার করেছে তাকেই শক্ত হাতে হাসপাতালের হাল ধরতে হবে। হাসপাতালের তৈলবাজ চোর চক্রটি এমপি সাহেবদেরকে ম্যানেজ করেই এমন অপকর্ম করার সাহস করছে। এখানে রোগি মরলে কার কি হবে ?
হাসপাতালের মূমুর্ষ রোগি ফেলে সরকারী এম্বুলেন্সের শহরের মেডিষ্টার ডায়াগণস্টিক সেন্টারের এমন কাজে সকল সময় ব্যবহর করে আসছে। এ ছাড়াও ড্রাইভার দুলাল চক্র মাদক বহন, মেডিপ্লাসের মালামাল বহণের অভিযোগে অসংখ্যবার পুরিশের কাছে আটক হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সরকারী সকল সুবিধা অনৈতিকভাবে গ্রহণ কওে যাচ্ছে অপরাধী এই চক্রটি। সবশেষ গত ২০১৭ সালের ১৬ আগষ্ট এই একই এম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে অসাধুচক্রের মালিকানাধীন মেডিপ্লাস ডায়াগণস্টিক সেন্টারের মালামাল বহন করলে পুলিশ এম্বুলেন্সসহ ড্রাইভার দুলালকে আটক করে মামলা দায়ের করলেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।
Discussion about this post