এনএনইউ রিপোর্ট :
নির্বাচনী ডামাঢোলের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরীতে দখলদারিত্ব ও এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা ও গাজীপন্থী হাবিবুর রহমান ওরফে বালু হাবি বাহিনীর সাথে স্থানীয় কাউন্সিলর রাজিব বাহিনীর দীর্ঘদিনের কোন্দলের জের ধরে সংর্ঘষের ঘটনায় খোরশেদ মিয়ার (৪৩) মৃত্যু এবং আরো ৮/১০ জন গুরুতর আহত হযেছে।
নিহত খোরশেদ মিয়ার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে রূপগঞ্জের গর্ন্ধবপুর এলাকায় নিয়ে আসলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল বুহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টায় মৃত্যু হয় কাউন্সিলর রাজিবের সহযোগি খোরশেদ মিয়ার।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শুক্রবার বিকেল ৪টায় নিহত খোরশেদ মিয়ার স্ত্রী রুমানা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী যখন যে কাজ পায় সেই কাজই করে সংসার চালায়। পাশাপাশি কাউন্সিলর রাজিবের সাথে এলাকায় চলাফেরা করেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকজন জানায়, আমার স্বামীকে এলাকার বালু হাবি, তার ভাই আজাবুর রহমান ও তার সাথের লোকজন গুলি করেছে এবং কুপিয়ে ফেলে রেখেছে । এই খবর শুনে আমি লোকজনের সাথে হাসপাতালে আসি। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় আমার স্বামীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা। আমি এখন কি করবো বুঝতেছি না। তাকে (খোরশেদ) হারিয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য হাবি ও তার ভাই আজাবুরের বিচার চাই।
ঘটনার বিবরণে নিহতের চাচাতো ভাই সবুজ ও এলাকার আক্তারসহ অনেকেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে দাড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মূলতঃ বালু হাবির ভাই (রূপগঞ্জ তেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও তারাবো পৌর আওয়ামীলীগের নেতা হবিবুর রহমান) আজাবুর রহমান ও তার বিশাল বাহিনী দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় সকল মিল ফ্যাক্টরী নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলো। তারাবো পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিব রূপসি এলাকার একটি কংক্রিটের ফ্যক্টরী পরিচালনা করতো । এই ফ্যাক্টরীর দখলদারিত্ব পেতে আজাবুর অনেক দিন যাবৎ চেস্টা চালিয়ে আসছিলো। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলা চালালে খোরশেদকে সামনে পেয়ে এলোাপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। একই সাথে আরো ৮/১০ জন কে আহত করে আজাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী।
হতাহতের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত রফিকুল ইসলাম সকালে জানান, গর্ন্ধবপুর এলাকার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে দুই সন্তানের জনক খোরশেদ (৪৩) নামের এক ব্যক্তি লাশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। গত রাত ১২ টায় তার মৃত্যু হয়েছে। অপর অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর দারোগা এমদাদ এ বিষয়ে সকল খোজ খবর রাখছে । এ বিসয়ে এখনো কোন মামলা হয় নাই।
Discussion about this post