জোড়ালো তদ্বিরের পাশাপাশি মোটা অংকের লেনদেনের কারণে এমন আসামীকে সকলের চোখ ফাকি দিয়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে সর্বত্র
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : :
মন্ত্রীর লোক বলে কথা। তাইতো আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক এক মন্ত্রীর কারখানায় ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে চাঁদাবাজ রাসেল(৩৫) ও তার সহযোগিরা। অভিযোগ উঠেছে চাদাঁবাজি মামলার আসামী রাসেলকে আটক করেও ছেড়ে দিয়েছে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান।
অভিযোগে জানা গেছে,রূপগঞ্জ মাঝিনা এলাকার নদীরপাড়ে করিম এসফল্ট ও রেডিমিক্স কোম্পানীর একটি কারখানা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী রাসেল ও তার সহযোগিরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। তাদের দাবী অনুযায়ী চাঁদা পরিশোধ না করায় ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে চাঁদাবাজ রাসেল ও তার সহযোগিরা কারখানায় প্রবেশ করে আবারও টাকা দাবী করে। কিন্তু ম্যানেজার গোলাম রসুল শিহাব টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রাসেলের নির্দেশে তার সহযোগি রাসেল ভূইয়া,ওমর ফারুক ভূইয়া,আশিক ইকবাল,বাবু ধারালো অস্ত্র নিয়ে ম্যানেজারের উপরে হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ সময় ম্যানেজারের আর্তচীৎকারে আশপাশের লোকেরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় বলে যায়,এলাকায় ব্যবসা করতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে,নইলে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ ঘটনায় কারখানার ট্রান্সপোর্ট অফিসার রোকন খন্দকার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে যার নং-৬৪ তা“-২২/০৯/২০১৯।
এর পর পরই চাঁদাবাজ রাসেলকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করলেও রহস্যজনক কারনে তাকে আদালতে চালান না করে ছেড়ে দেয়। সূত্র জানায়,স্থানীয় মন্ত্রীর লোক হওয়ায় বিশেষ তদবীরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রাসেল রূপগঞ্জ এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তাকে চাঁদা না দিয়ে রূপগঞ্জ এলাকায় কোন কারখানা চলতে পারেনা জানায় এলাকাবাসী। রাসেল মন্ত্রীর লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলারও সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান,রাসেল চাঁদাবাজি মামলার আসামী। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে তবে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post