সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন করায় মালিক ও ম্যানেজারকে এক মাসের জেল দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিপরীত পাশে অবস্থিত হিমালয় কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। কমিউনিটি সেন্টারটি সিলগালাও করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এই কমিউনিটি সেন্টারে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধির দিক নজর রেখে কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে খবর পেয়ে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুন্নবী। তিনি জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া দেয়ায় হিমালয় কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মোশারফ হোসেন ও ম্যানেজার সুজাউল করিমকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
একই সাথে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মো. নূরুন্নবী।
এদিকে অনুষ্ঠানে আসা বেশ কয়েকজন অতিথি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনুষ্ঠানটি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছিল। দুরত্ব বজায় রেখে আমার অংশগ্রহন করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে এসে প্রশাসনের লোকজন এভাবে একটি অনুষ্ঠানে অভিযান চালাবে আর কোন কথাই শুনবেন না। এটাতো হতে পারে না। আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি নাকি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রবেশ করেছি। তারা আরও বলেন, এই করোনা পৃথিবীতে যদি আরও ১৫ বছর থাকে তাহলে কি মানুষের সকল কর্মকান্ড বন্ধ থাকবে। সব কিছু খোলা রেখে কেন স্কুল আর বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে ? তারা এ ধরনের অভিযান বন্ধের আহবান জানান।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান চালালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ওয়ালী মাহমুদ খান। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুন্নবী বলেন, অভিযানে কোনো বাধার সম্মুখীন তারা হননি। জেলা প্রশাসক ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, পরে কিছু সময়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিলেন তিনি।
Discussion about this post