স্টাফ রিপোর্টার :
রাস্তায় পুলিশের হর্ণ বাজিয়ে নিজেকে পুলিশী ভাব দেখিয়ে শিশু কিশোরদের নিজ বাহিনী দিয়ে মারধর, জেলা ও জেলার বাইরে নানাভাবে ভূমিদস্যূতা, থানায় এসে দারোগাকে গুলি, কখনো মেয়র আইভীর নাম ব্যবহার, আবার কখেনো ওসমান পরিবারের লোকজনদের নাম ব্যবহারসহ খোদ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের নাম ব্যবহার করার পাশাপাশি জামায়াত শিবিরের পৃষ্টপোষক হিসেবে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের পর এবার সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে কেনার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন জাতীয় পার্টি কথিত নেতা আল জয়নাল ।
একাদশ নির্বাচনের আগে নানাভবে বিতর্কিত জয়নাল আবেদীন তাতী রীগের কেন্দ্রীয নেতা হিসেবে শহরে ও জেলায় নানাভাবে ভুমিদস্যুতার অভিযোগ ছিলো ।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর টানবাজার এলাকায় আল জয়নাল ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডাকেন আল জয়নাল। বন্দরের কুতুববাগ দরবার শরীফের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী মাহফিল আয়োজনকে ঘিরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিলো। মাহফিলটি ২ মার্চ শনিবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। এ মাহফিলে পুরো দেশ থেকেই অগণিত ভক্ত যোগ দেন। এবারও ভক্তরা অংশগ্রহণ করবেন। জয়নাল কুতুববাগ দরবার শরীফের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনটি সর্বস্তরের মানুষকে দাওয়াতের আহবান জানানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো। তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে জয়নাল সাংবাদিকদের অর্থের বিনিময়ে সংবাদ প্রকাশের প্রলোভন দেখানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, জয়নাল আবেদীন নানা কারণে নানা ধরণের বিতর্ক নিয়েই সবার সম্মুখে আসেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাঁচদিন আগে ২৫ ডিসেম্বর রাতে আল জয়নালের বিরুদ্দে সদর মডেল থানার একজন এএসআইকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় জয়নালকে আটক করা হয়।
এছাড়া জয়নালের বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য মামলা ও অভিযোগ।
২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে প্রথমবারের মতো মামলা হয়। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়। সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২০০৯ এর ৬(২)/১০/১৩ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, গোপন ষড়যন্ত্র, অপরাধ সংঘটনে পরস্পর সহযোগিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় কাতার প্রবাসীর স্ত্রীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে আল জয়নালের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া যায়। দখলকৃত জমি থেকে কাতার প্রবাসীর স্ত্রী সুরাইয়া বেগমকে উচ্ছেদ করতে নানা ধরনের হুমকি দেয়ার কারণে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর দুপুরে ফতুল্লার হরিহরপাড়া গুলশান রোড এলাকার আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বাদী হয়ে আল জয়নালের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এছাড়াও শহরের কালীর বাজারের কয়েকজনের সম্পত্তি দখল করতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানাভাবে দখল করার পায়তারার পর পুলিশী হেনস্থায় পালিয়ে যায় জয়নাল ও তার বাহিনী । সবশেষ জীবিত উপেন্দ্র সাহাকে মৃত দেখিয়ে বিশিাল সম্পত্তি ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিক্রির পর মামলা দায়ের করে উপেন্দ্র সাহার লোকজন। ফুিল্লার এমন বিশাল সম্পত্তি দখল করতেও নানাভবে পায়তারা করে যাচ্ছে জয়নাল আবেদীন ও তার সহযোগি একটি চিহ্নিত চক্র । এমন প্রতারণা মামলায় আল জয়নালসহ তার অনুগামী ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। উপেন্দ্র চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে মামলা করলে গত ৪ এপ্রিল জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিবাদী আল জয়নালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
নানা কেলেংকারীর হোতা জয়নাল আবেদীন এতা অপকর্ম করার সাহস দেয় কে তার জনতে শহরব্যাপী রয়েছে সমালোচনার ঝড়।
Discussion about this post