বন্দরে এক ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রায় ১২শ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার চালগুলো জব্দ করেন। কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত এক বন্ধ পোশাক তৈরি কারখানায় চালগুলো মজুদ রাখা হয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম জানান, গোপন খবরে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ইশতিয়াক রাসেল ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন খান অভিযান চালান।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই অভিযানে উপজেলা মদনপুর ইউপির কেওঢালা এলাকায় অবিস্থত হায়দারী গার্মেন্টের নিচ তলার ডাইং সেকশনের ভেতর থেকে ১২শ বস্তর মজুদ করা চাল উদ্ধার করা হয় ।
প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চালগুলো মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ভূঁইয়ার। চট্রগ্রাম থেকে রাসেল নামের তার এক বন্ধু তার কাছে পাঠিয়েছে। অভিযান কালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে যুবলীগ নেতা জাবেদ ভূঁইয়া বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাল জব্দ করে গার্মেন্টের কক্ষটি সিলগালা করে দেন।
তবে ওই যুবলীগ নেতার দাবি, চালগুলো গরিবদের বিতরণের জন্য আনা হয়েছিল।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার বলেন, বিপুল পরিমাণ চালের বিষয়ে জাবেদ ভূঁইয়া কিছুক্ষণ আগে আমাকে জানিয়েছেন এ চাউল ত্রাণের জন্য আনা হয়েছে। বর্তমানে গুদামটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। জাবেদ বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গরীবদের জন্য আনা হয়ে থাকলে তা প্রমাণিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
Discussion about this post