নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কিশোর গ্যাং এর নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী শাহ পরান (২০) কে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে অকপটেই হত্যাকান্ডের সকল তথ্য স্বীকার করে । সেই মতে বন্দর থানা পুলিশ ১৫ জুন সোমবার সকালে আসামীকে আদালতে পাঠিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে । কিছুক্ষনের মধ্যে আদালতে আসামী শাহ পরানের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আদালতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অমিত দাস (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্দর এলাকায় গত ১২ জুন একদল কিশোর বেদম পিটিয়ে তাকে নদীতে ফেলে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। রবিবার (১৪ জুন) সকালে শীতলক্ষ্যা নদীবর্তী শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বাবা শ্যামল দাস বাদী হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শাহ পরানকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার আমিন আবাসিক এলাকার উত্তম দাসের বাড়ির ভাড়াটিয়া শ্যামল দাসের ছেলে অমিত দাস ও তার দুই বন্ধু শান্ত ও রাব্বি গত শুক্রবার (১২ জুন) রাত ৮ টার দিকে ওই আবাসিক এলাকার শেফা ডকইয়ার্ডের সামনে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে বন্দর বাবুপাড়া এলাকার আরেকটি কিশোর গ্যাং এর সদস্য শাহপরান, শাকিল, সঞ্জয়, সোহেল, ফয়সাল, শুভ, সানী, সোহাগসহ অজ্ঞাত নামা ১৪/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ধারালো অস্ত্র শস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অমিত দাস ও তার দুই বন্ধুর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা অমিত দাসসহ তার দুই বন্ধুকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ পর্যায়ে আমিত দাসসহ তার দুই বন্ধু জীবন বাঁচাতে ঘটনাস্থলে থাকা একটি বলহেডের ওপরে উঠলে প্রতিপক্ষের সদস্যরা তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে এবং আবারও বেদম পিটিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। পরে শান্ত ও রাব্বি সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অমিত দাস গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে অমিত দাসের পরিবার ও স্বজনরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নদীতে খোঁজাখুজি করে। ঘটনার দুইদিন পর রবিবার (১৪ জুন) সকালে শীতলক্ষা নদীর মোক্তারপুর এলাকায় শাহ সিমেন্ট কারখানার সামনে অমিতের লাশ ভেসে ওঠে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।
নিহতের লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে ময়না তদন্তের পর বন্দরে সৎকার করা হয়েছে । এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাহ পরানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞসাবাদের পর সে নিজেই অকপটে স্বীকার করে হত্যাকান্ডের তথ্য । সঈকারোক্তিমূলক তথ্য প্রদানের পর সোমবার ১৫ জুন দুপুরে আদলেতে পাঠানো হয়েছে আসামী শাহ পরানকে ।
Discussion about this post