স্টাফ রিপোর্টার :
ডিবি পুলিশের সাথে ক্রসফায়ারে নিহত ফতুল্লা ব্যাংকলোনী এলাকার মাদক সম্রাট ডাকাত লিপু ওরফে বোমা লিপুর নিয়ন্ত্রিত মাদক বাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে এবার মাঠে নেমেছে মাদক ব্যবসায়ী হান্ড্রেড বাবু ও আলামিন ওরফে ট্রাক আলামিন।
এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর অধিনে রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক সেলস্ম্যান। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনী প্রায় সময়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। উভয় বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পায় সময়ই এলাকায় মহড়া দিয়ে থাকে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাকাত বোমা লিপুর সদস্য ছিল হান্ড্রেড বাবু ও আলামিন ওরফে ট্রাক আলামিন । লিপু নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর লিপুর মাদক সাম্রাজ্য দখল নিতে একাধিক গ্রুপ মাঠে নামলেও বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে হান্ড্রেড বাবু ও আলামিন ওরফে ট্রাক আলামিন।
এই দুই বাহিনী প্রায় সময় মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্ধে জড়িয়ে পরে। লিপুর এই দুই সহযোগী পৃথক পৃথক বাহিনী গঠন করে ফতুল্লা স্টেশন,ব্যাংক কলোনী,আলীগঞ্জ জোড়পুল,মাদ্রাসা রোড, শাহারা সিটি,পাকিস্তান বিল্ডিং গলি, স্টেশন পুরান বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোর মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আলামিন তার বিশ্বস্থ ৩ সহযোগী সুজন, সবুজ, ও বাইল্যা সুমনকে নিয়ে স্টেশন পুরান বাজার গলি, পাকিস্তান বিল্ডিং গলি, শাহারা সিটি, বালুর মাঠসহ আশপাশের অলিগলিতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
অপরদিকে হান্ড্রেড বাবু ব্যাংক কলোনী এলাকায় অবস্থান করে তার সহযোগী বিদুৎ পাল, আমীর হোসেন পিচ্ছু, হাক্কানী পারভেজ,তোতলা শুভসহ বেশ কিছু সেলস্ম্যান নিয়ে আলীগঞ্জ জোড়পুল, মাদ্রাসা রোড,রেলস্টেশন,ব্যাংক কলোনী বায়েজীদ বোস্তামী রোড, আইসক্রীম ফ্যাক্টরী গলিসহ আশপাশের অলিগলিতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
গত দুইদিন পূর্বে এএসআই তারেক রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হান্ড্রেড বাবুর দুই সহযোগী তোতলা শুভ ও পিচ্ছি বাবুকে মাদকসহ গ্রেফতার করলেও মূল হোতা হান্ড্রেড বাবু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, মাদক ব্যবসায়ী হান্ড্রেড বাবু ও আলামিনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল । এলাকাবাসীর দাবি, এই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেই এসব এলাকা মাদক মুক্ত হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
Discussion about this post