গৃহবধূ সুমি আক্তারের মৃত্যুর সাথে সাথেই টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সমাঝোতা চুক্তি সম্পন্ন করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ভোররাতেই লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেয় পরিবার । সকাল ৯ টার মধ্যেই সুমি আক্তারের দাফন সম্পন্ন করে। এমন ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে ফতুল্লায়
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতালে এবার সুমি আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ।
ফতুল্লার পাইলট স্কুল এলাকার বাসিন্দা জয়নাল বাবুর্চির মেয়ে সুমি চিকিৎসার নিতে আসলে ভুল অপারেশনে মারা যান তিনি।
মংগলবার দিবাগত রাত ২ টায় এমন ঘটনায় দরকষাকষির পর ৩ লাখ টাকায় ধামাচাপা দেয়া হয়।
প্রসূতির স্বজনরা জানায়, চিকিসৎকদের অবহেলার কারণে সুমী আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। চিতিৎসকারা সঠিক ভাবে দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা করলে সুমীকে অকালে জীবন দিতে হতো না। এদিকে , সুমীর মৃত্যুর সাথে সাথেই একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ শুরু করে। রফাদফার পর ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে রোববার দুপুরে ফতুল্লার মোস্তাফিজ সেন্টারে অবস্থিত ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাকতের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা মাসুম মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে উল্টো অঙ্গিকার নামা দিয়ে তারা থানা ছাড়েন । স্বজনদের অভিযোগ, তাদের সাথে ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দুঃব্যবহার করে বের করে দিয়েছে । নবজাতকের মৃত্যুর জন্য ক্লিনিকের চিকিৎসকদের অবহেলাকেই দায়ি করছেন তারা। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল নানা মহলে দৌড়ঝাপ করেছে এবং এই প্রভাশালী মহলের সাথে বিশেষ পেশার একজন জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ভুল চিকিৎসায় মৃত শিশুর নানী জানান, বুধবার বিকেল ৪টায় ফতুল্লার মোস্তাফিজ সেন্টারে অবিস্থত জেনারেল হাসপাতালে তার মেয়ে পিংকিংকে ভর্তি করানো হয়। একই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এ ঘটনার পর থেকে নব যাতক শিশুর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার রাতে অবস্থার অবনতি ঘটলে ক্লিনিকটির চিকিৎসকরা জোর করে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে রোগিকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত গভীর হওয়ায় সম্ভব হয়নি। রোববার ভোরে রোগির অভিভাবকরা প্রথমে শহরের ৩শ শয্যা হাসপাতালে পরে মাতুয়াইল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়ার পথে নব যাতকের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, এই ক্লিনিকে কিছুদিন আগেও রক্তের ভুল রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া প্রায় সময়ই এই ক্লিনিকে রোগিদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরক্ষায় ভুল রিপোর্ট দেয়া হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই ক্লিনিকটি বহুল ভবনে হলেও লিফটের কোন ব্যবস্থা নেই। যদি ২য় তলার উপরে কোন ক্লিনিক থাকলে লিফট সুবিধা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও, মোস্তাফিজ সেন্টার কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগীরা। হাসপাতালের ম্যানেজার এম আর কেনন জানান, রাতে নবজাতকের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রেফার্ড করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, শিশুটিকে নিয়ে থানায় এসেছিলো তার বাবা-মা। তবে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আগ্রহ প্রকাশ করলেও তার পরবর্তীতে আর রাজি না হয়ে মৃত শিশুটিকে নিয়ে চলে যায়।
Discussion about this post