নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সোমবার সকালে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা এলাকার হুমায়ুন নামের এক আসামি ছাড়ানোর মাধ্যমে সোনারগাঁ থানার এএসআই আব্দুস সামাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। ওই সময় থেকে মোবাইল নম্বর দেওয়ার সুবাদে সময়ে অসময়ে তাকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করতো এএসআই সামাদ। পুলিশ প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয় দেখিয়ে কথা বলতে বাধ্য করতো এএসআই। কথা বলার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রথমবার তাকে ঢাকায় নিয়ে সামাদের পরিচিত মাসুদের বাসায় নিয়ে গৃহবধুকে কোরআন ধরে শপথ করে বিয়ের প্রলোভনে প্রথমবার দৈহিক সম্পর্ক করে। এ ছাড়াও কয়েকবার পার্শ্ববর্তী বন্দর উপজেলার মালিবাগ ক্যাসেল চাইনিজ রেস্টুরেন্টেসহ একাধিক স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে।
গৃহবধূ আরো জানান, এএসআই সামাদ তাকে একটি স্বর্ণের চেইন ও ইমুতে কথা বলার জন্য একটি মোবাইল সেট কিনে দেন। গত এক মাস আগে সোনারগাঁ থানার পাশে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে দিনে ও রাতে তাকে ধর্ষণ করে। করোনাকালীন সময়ে সামাদের স্ত্রী বাসায় না থাকায় ওই ফ্ল্যাটে ৫ দিন তারা স্বামী স্ত্রীর মতো সংসার করেছে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে এএসআই সামাদের স্ত্রী রোকসানা ওই ফ্ল্যাট এসে গৃহবধুকে বেঁধে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়টি সোনারগাঁ থানা পুলিশ অবগত রয়েছেন বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল ফোন থেকে এএসআই সামাদ গৃহবধুকে বিয়ের বদলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি
Discussion about this post