এটা সত্যিই গর্বের এই আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের ৫২’র ভাষার আন্দোলন, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিগ্যাসি। আমি আনন্দিত শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা করপোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে । প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের আশাবাদের পর আরো কাজের গতি বৃদ্ধি করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । দেশের সর্ববৃহৎ সুউচ্চ ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে শুরু হয়েছে এর উন্নয়নমূলক নির্মান কাজ । এর নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার’। চলতি ২০২০ সালে এই ভবনটির কাজ শুরু হয়েছে এবং এর দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে ২০২৪ সালে যার জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ
এনএনইউ ডেক্স :
২০২৪ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চান গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করবো ২০২০ সালে মূল কাজ শুরু করে ২০২৪ এর মধ্যে যেনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়।’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু ট্রাইটাওয়ার এর কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, গণপূর্তের প্রধান আর্কিটেক্ট, চীফ ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রকল্প পরিচালক তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সত্যিই গর্বের এই আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার লিগ্যাসি। আমি আনন্দিত শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা করপোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে এই কাজটিকে এগিয়ে নিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই তারা প্রস্তাবিত সময়সীমার আগেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
এসময় মন্ত্রী পূর্বাচলের ১৯ নম্বর সেক্টরের ১১১ নম্বর রোডের পাশে প্রকল্পের অস্থায়ী শেডে প্রতিমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেন।
সিবিডিতে নির্মিতব্য আইকনিক টাওয়ারে প্রতিফলিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে ৫২ তলা ভবন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ৭১ তলা ভবন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার লিগ্যাসি স্মরণে ৯৬ তলায় মিউজিয়ামসহ গড়ে উঠবে দেশের বৃহত্তম ১১১ তলা ভবন।
আইকনিক এই তিনটি ভবনের পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠবে ৪০ তলার আরো ৪৯টি ভবন। প্রায় ৯৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগের সংস্থান করা হয়েছে বলে প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রথম দুই বছরেই প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করা হবে যা দেশের অর্থনীতি ও নির্মাণ শিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, পূর্বাচল সেন্ট্রাল বিজনেজ ডিস্ট্রিক নামে রাজউকের আইকনিক টাওয়ার তৈরির কাজটির জন্য দরপত্রের মাধ্যমে শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা করপোরেশন জাপান যৌথভাবে নির্বাচিত হয়। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের মাটি পরীক্ষা, যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমীক্ষা প্রতিবেদন, প্রকল্পের খসড়া মাস্টার প্লান ও ডিজাইন রাজউক এ জমা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি স্মার্ট ও নান্দনিক আইকনিক টাওয়ারের এই ডিজাইনের জন্য রাজউক আন্তর্জাতিক একটি পুরস্কারও লাভ করে।
পরিবেশ বান্ধব এই ভবনসমূহে সারা ওয়াল জুড়ে লাগানো হবে বিশ্বের সর্বাধুনিক সোলার গ্লাস। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও বিভিন্ন ইউটিলিটির জন্য করা হবে কমন ডাক্ট ব্যবস্থা। গ্রীন ভবন সমূহের বাউন্ডারি ওয়ালে চীনের গ্রেট ওয়ালের আদলে গড়ে তোলা হবে ওয়াক ওয়ে! সেই সাথে অভ্যন্তরীন যাতায়াতের জন্য পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রনিক বাস এবং আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়াক ওয়েও থাকবে এখানে। এই ঐতিহাসিক টাওয়ারের আর্কিটেক্ট হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত হেরিম আর্কিটেক্ট কাজ করছে। হেরিম পৃথিবীর সেরা সাতটির একটি এবং কোরিয়ার শ্রেষ্ঠ আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠান।
প্রতিমন্ত্রীর সাইট ভিজিট অনুষ্ঠানে পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস ও শিকদার গ্রুপ ছাড়াও এই কাজের সাথে যুক্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হেরিম, পিডাব্লিউসি, আর্কেটাইপ, নর, চায়না পাওয়ার ও চায়না এনার্জি এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post