পেশাদারিত্ব ছেড়ে দিয়ে সরকারী চাকরীকে বিশাল ব্যবসা হিসেবে মনে করতো ইন্সপেক্টর এনামুল হক । বিশাল অভিযোগের পাহাড় জমা পরার পর ষ্ঠ্যান্ড রিলিজ হলেও এবার মুছা বিন শমসেরকে তার বদলী ঠেকাতে ব্যেবসার করছেন বলে এবার অভিযোগ উঠেছে ………..
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
কোন অবস্থাতেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নাারয়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ থেকে সদ্য ষ্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া ইন্সপেক্টর এনামুল হকের । ষ্ট্যান্ড রিলিজ হওয়ার পরও এখনো নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে বদলী ঠেকানোর পায়তারা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে জোড়েশোরে । এমন অভিযোগে অনেকেই বলেছেন “কি মধু আছে নারায়ণগঞ্জের ডিবিতে ।”
৬ অক্টোবর রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক। নানা অপকর্ম আর বিতর্কের জের ধরে স্ট্যান্ডরিলিজ করে শিল্প পুলিশের হেডকোয়াটারে যুক্ত করা হয় ইন্সপেক্টর এনামুলকে ।
এমন আদেশের পর এখনো এখনো বদলী ঠেকিয়ে ফের ডিবি পুলিশেফিরে আসার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে খোদ পুলিশের কয়েকজন সদস্য ।
দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের চাকুরী করার সুবাধে বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে কয়েকজন সোর্সকে ক্যাশিয়াার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে জেলার রূপগঞ্জের অজোপাড়াগা রাণীপূড়া থেকে শুরু করে ফতুল্লার গঞ্জকুমারীয়ার মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড়াও জেলার প্রায় সকল অপরাধীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এ ছাড়াও সদর উপজেলার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার জামাল মিয়ার বাড়ীর ৩য় তলায় বিশাল আসরের অভিযোগ রয়েছে ইন্সপেক্টর এনামুল হকের বিরুদ্ধে । এ বাড়টি যেন আরেকটি ডিবির হাজতখানা বলওে চাউর রয়েছে শহর জুড়ে।
এতো সমালোচনার পর এবার বহুল বিতর্কিত এনামুল হককে এবার দেখা গেলো বাংলাদেশের আলোচিত ব্যক্তি ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের পাশে। আর সেসব ছবি খোদ এনামুল নিজেই তার ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের সাথে কিছু সময়…’। নিজ ফেজবুক পেজে এমন ছবি প্রচারের পর অনেক পুলিশ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এবার ইন্সপেক্টর এনামুল তার বদলী ঠেকাতে মুছা বিন শমসেরকে ব্যবহার করতে পারেন । কারণ মুছা বিন শমশের কে তা সকলেই জানেন ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ থেকে তাকে রিলিজ করার কারণে এখানকার সাধারণ অনেক মানুষই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নানা ভাবে নানা অজুহাতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন এনামুল হক।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়, ইন্সপেক্টর এনামুল হকের সোর্স মুসলিম । মূলত তার মাধ্যমেই মানুষজনকে হয়রানিসহ নানা অপরাধ কার্যক্রম চালাতেন এনামুল । সোর্স মুসলিমের মাধ্যমে নিয়মিতই এনামুল তার বাড়িতে নারীর আগমন ঘটানোসহ নানা ধরণের আড্ডার আয়োজন করা হতো। এক ধরণের সকল অপরাধসহ এই বাড়ীতে অনেকেই আটক করে রেখে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও ছিলো তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে কৌশলে পুলিশ সুপার দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করাতেন। তাদেরকে আগের থেকেই বলে দেওয়া হতো, অভিযোগটি যাতে এনামুল হককে দেওয়া হয়। তাদের চাহিদা মতে এনামুলকেই দেওয়া হতো অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে। আর সে সুযোগে তিনি ব্যাপক ভাবে মানুষকে হয়রানি করতেন।
শুধু তাই নয়, সাধারণ অনেক মানুষকে আটকে সামারি করারও অভিযোগও তার বিরুদ্ধে কম নয়। এসব তিনি ডিবি অফিসে বসেই করতেন। এরমধ্যে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঢাকার নাইট অ্যাঙ্গেলের কাছের একটি ফ্ল্যাট এনামুল তার স্ত্রীর নামে লিখে দিতে চাপও দিয়েছিলেন। আর সেটি প্রকাশ্যে ডিবি অফিসেই এসব কাজ হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এমন অভিযোগ ছাড়াও ইন্সপেক্টর এনামুেল হক সিদ্ধিরগঞ্জের গণপিটুনীর মামলা নিজেই তদন্ত করার জন্য গ্রহণ করার পর ব্যাপক ধরপাকর ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । মূলতঃ এনামুল একজন কঠিন সামারীবাজ ইন্সপেক্টর । এনামুল এমন কোন অপকর্মনাই, যা তার দ্বারা সম্ভব হবে না ।
তাই অনেকের দাবী ,নারায়ণগঞ্জে ইন্সপেক্টর এনামুলের জন্য কি এমন মধু আছে যার জন্য ফিরে আসার তদ্বির চালাচ্ছে জোরেশোরে । তা তদন্ত করে আরো কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ।
Discussion about this post