এনএনইউ ডেক্স :
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছেন, “আগে ‘জয় বাংলা’ বলতে অনেকেই কুণ্ঠাবোধ করতেন, এখন আদালতের রায়ে এই স্লোগান কারো ব্যক্তিগত নয়, সবার, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে এই নারায়ণগঞ্জের বিশেষ অবদান রয়েছে। নতুন প্রজন্মকে সে ইতিহাস জানাতে হবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
জেরা প্রশাসক আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র দেশ যে দেশ মাত্র নয়মাসে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাকে রসদ যোগাতে হত। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি মহিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো এই নারায়ণগঞ্জে। আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠার, মুক্তিযুদ্ধের ও ভাষা আন্দোলনের এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার এই নারায়ণগঞ্জ।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর পর থেকেই যখন তারা বুঝতে পারলো তাদের হার সুনিশ্চিত তখন তারা ১৪ই ডিসেম্বর এই দেশের সব রত্নদের তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। রণদা প্রসাদের ত্যাগ ও মুক্তিযুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস সব কিছু আমাদের জানতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই ত্যাগ, তিতিক্ষার ব্যাপারে জানতে হবে। একেমএম শামসুজ্জোহার সন্তান তার বাবার নামে ভবন হওয়ার কথা থাকলেও তিনি তার বাবার নামে না করে জাহানার ইমামের নামে ভবনের নাম রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধে শামসুজ্জোহা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযদ্ধে মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভাষা শহীদ মমতাজ বেগমের নাম উল্লেখযোগ্যভাবে স্বরণীয়। এই নারায়ণগঞ্জের একজন মানুষ ছিল আল-বদরের প্রধান মুজাহিদ কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের হত্যার অপারেশনের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল আশরাফুজ্জামান যাকে আমরা এখনও বিচারের আওতায় আনতে পারিনি।
সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রানী সিংহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ মোদক, সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষক শাহ মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
Discussion about this post