বিদেশ ফেরৎ আক্রান্তদের রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে । তাদের বাসা নারায়ণগঞ্জ শহরের এসএম মালেহ রোডের আল জয়নাল প্লাজার ১৩ তলায় । আক্রান্তদের চিকিৎসার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সদর থানা সংলগ্ন জয়নাল প্লাজায় বিশেষ নজরদারীতে রাখা হয়েছে । অনেক সাংবাদিক এখানে ভীড় করলেও সকলের উচিৎ হবে এই বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা । এভাবেই নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেছেন জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক ম্যাডিকেল অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
শেষ পর্যন্ত করোনার ছোবল পড়লো নারায়ণগঞ্জেও। বাংলাদেশে তিন জন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের দুইজনই নারায়ণগঞ্জের বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
রোববার (৮ মার্চ) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে তিনজনকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ, অপরজন নারী।
আইইডিসিআর-এর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানানোর পরপরই শোনা যায় আক্রান্ত তিনজন রোগী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তবে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, আক্রান্ত দুইজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তাদের একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রী।
সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আরো বলেন, বাংলাদেশে যে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুইজন নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। তারা ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন । তবে নারায়ণগঞ্জের লোকজনদের আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সরকারিভাবে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনে চলারও কথা বলেন তিনি ।
এদিকে আইইডিসিআর সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের এক বাসিন্দা ইতালি থেকে করোনা (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। বাসায় ফেরার পর তার সংস্পর্শে তার স্ত্রীও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে বলে জানা গেছে ।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, জ্বর ও কাশি নিয়ে এই তিন ব্যক্তি (নারায়ণগঞ্জের দুজনসহ) গতকাল আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তারা পজিটিভ প্রমাণিত হন। তবে তিনজনই ভালো আছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনজনেরই বিশেষ কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। করোনার চিকিৎসা হচ্ছে সিম্পটোমেটিক অর্থাৎ লক্ষণ উপসর্গভিত্তিক। তারা সেই চিকিৎসাই পাচ্ছেন, তাদের অন্য কোনও সাপোর্টিভ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি। তবে তারা আইসোলেশনেই থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত পরপর দুটো নমুনাতে তারা নেগেটিভ প্রমাণ না হচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত তারা আইসোলেশনেই থাকবেন।
জেলা স্বাস্থ বিভাগের একটি নির্ভরযোগ সূত্র আরো জানায়, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে শহরের পপুলার ডায়াগণষ্টিক সেন্টারে এবং পরে রাজধানীতে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে উপস্থি হয়ে তার অসুস্থ্যতা ও বিদেশ ফেরতের বিষয়টি জানানোর পর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পরে তিারা আক্রান্ত করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে ।
Discussion about this post