স্টাফ রিপোর্টার :
ভিক্ষুকের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে তার মাধ্যমে সিমকার্ড তুলে কখনো শাহাদাৎ বাহিনী, কখনো জ্বীনের বাদশা আবার কখনো শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম করে অনেকের কাছ থেকে চিাঁদাবাজি, প্রতালনার মাধ্যমে অর্থহাকতয়ে নেয়াই ছিলো প্রতারক সৈয়দ আকতার হোসেন লিটন, মুকলেসুর রহমান ও দুলাল ওরফে দুলাল পাগলাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় আড়াইহাজারের নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী মহাসড়কের বান্টিবাজার হতে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, সৈয়দ আকতার হোসেন লিটন (৪৫), মুকলেসুর রহমান ওরফে দয়াল বাবা (৫২) ও দুলাল ওরফে দুলাল পাগলা (৩২)। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল কাজী শামশের উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ভুয়া মোবাইল সিম ব্যবহার করে দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও উচ্চপদস্থ চাকুরীজীবিদের শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে মোবাইলে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আড়াইহাজারের জনৈক মমতাজ হাসান কর্তৃক অধিনায়ক, র্যাব-১১ বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার (০১৮৮০৮৭৭০৮৬) থেকে ‘দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের শাহাদাত’ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ঐ পরিচয়ে একই ব্যক্তি একাধিক সিম ব্যবহার করে দেশের বহু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং সরকারি ও বেসরকারি উচ্চ পদস্থ চাকুরীজীবিদের মোবাইলে হুমকি দিয়ে চাঁদার দাবি করেছে। অনেকে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে বিকাশে চাঁদা দিয়েছে। অনেকে হুমকিতে ভীত-সন্ত্রস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আবার অনেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি ও করেছে। র্যাব আরো জানায়, র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল দীর্ঘদিন অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে এই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী মহাসড়কের আড়াইহাজার থানার বান্টিবাজার থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাজ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা সৈয়দ আকতার হোসেন লিটন। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রামে। প্রতারণাই তার মূল পেশা আর মাজার ভক্তি তার নেশা। দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লিটন মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। জ্বীনের বাদশা হয়ে প্রতারণা করার অপরাধে একবার গ্রেফতারও হয়েছিল। তার পরেও তার প্রতারণা থেমে থাকেনি।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
Discussion about this post