নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যত ধর্ম রয়েছে সর্ব ধর্মের মূলই বাণী অন্যায় অবিচার ও বিভিন্ন ধরনের অনাচারকে দূর করে অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসা। সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে অপরাধ রয়েছে, আমাদের সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে নারী নির্যাতন রয়েছে, শিশু নির্যাতন হচ্ছে, আমাদের সমাজে মাদক ব্যবসা হচ্ছে, মাদকাসক্তের কারণে সমাজের উঠতি বয়সের সন্তানেরা নষ্ট হচ্ছে।
আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে দ্বীপ জালাতে চচ্ছেন, আপনারা স্বাগত জানাবেন ভাল এবং সৎকাজকে। এটা কিন্তু সকল ধর্মের মূলকথা। সকল ধর্মে অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকা, ভাল চিন্তা করা, শিশু সন্তানের ভালভাবে গড়ে তুলা। প্রত্যেক উৎসবের মূলকেন্দ্র অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
সোমবার ২৮ অক্টোবর সন্ধায় পালপাড়া এলাকায় নব উদয় সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ শুধু ঐতিহাসিকভাবে শিল্পনগরী নয়, নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলা। এখানে সকল ধর্মের মানুষ তার অধিকার, তার কথা তার চালচলন নির্দ্বিধায় পালন করতে পারে। আমরা পুলিশ বাহিনী আপনাদের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে নিজেকে গর্ববোধ মনে করি। যারা এই পূজার আয়োজন করেছেন তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা উৎসবটাকে নিজের মতো মনে করি। উৎসবটাকে উপভোগ করি। ভাললাগে উৎসবে গেলে। আমরা প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে গিয়েছি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ঢাকা শহরে একসময় বড় বড় গডফাদার ছিল। তাদের কাছে কোটি কোটি টাকা ছিল। আজকে কোটি কোটি টাকা তাদের কোন কাজে আসে নাই। তাদের জেলে যেতে হয়েছে। তাদের স্বরুপ কিন্তু বাংলার মাটিতে উন্মোচিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জেও অনেকে জেলে গিয়েছেন। তাদেরও স্বরুপ উন্মেচিত হয়েছে। অপরাধ করে কেউ পারবে না। যারা অপরাধ করছেন, তারা মনে করছেন আমাকে কেউ দেখছে না। কিন্তু অপরাধ একসময় আসবে আপনি কখনই পার পাবেন না। অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। কাউন্সিলর হবেন আবার মাদক ব্যবসা করবেন এটা হবে না। কথায় কাজে মিল থাকতে হবে।’
আমরা সে লক্ষ্যেই আছি আপনাদে সাথে। ভালো কাজের জন্য আপনাদের সাথে আমরা আছি। সমাজের আশে পাশে যদি আপনাদের মনে হয় ওই লোকটি মাদক ব্যবসা করে কিন্তু তার লেবাস হচ্ছে, সে একজন বড় নেতা। তাহলে সে নেতাকে আমরা ছাড় দিব না। তাকে অবশ্যই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।’
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, যারা স্কুল কলেজে না গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইভটিজিং করে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। আমরা খারাপকে দূর করবো। স্বল্প পুলিশ দিয়ে বৃহৎ পরিসরে অন্যায় কাজ দূর করা যাবে না। মাদক দূর করা যাবে না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম দূর করা যাবে না। সমাজের প্রতিটি মানুষ যখন আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করবে গুটি কয়েক সন্ত্রাসী কিন্তু এলাকায় থাকতে পারবে না।
পূজামন্ডপে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ওসি আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন।
Discussion about this post