এনএনইউ রিপোর্ট :
কলকাতার কফি হাউজের নাম যেমন বিশ্ব জোড়া ঠিক তেমনি নারায়ণগঞ্জের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সুধি সমাজের চায়ের আড্ডাস্থল বোস কেবিনের নাম সকলের কাছে পরিচিত। সেই চায়ের দোকানে আজ রোববার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালত ২ (দুই) লাখ টাকা জরিমানা করেছে পানিতে ময়লা থাকার অভিযোগে।
চায়ের দোকানে দুই লাখ টাকা জরিমানার ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার সৃস্টি হয়েছে শহর জুড়ে। এমন ঘটনাকে অনেকেই চক্রান্ত হিসেবে মন্তব্য করেছে সকলেই। চা তৈরীতে ব্যবহৃত পানিতে ময়লা থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে ২ লাখ টাকা জরিমানা নয়তো হাতকড়া পড়িয়ে জেলে দেয়ার আদেশ দেয়ার পর কান্নায় ভেঙ্গে পরেন বোস কেবিনের কর্ণধার তারক বোস। এ সময় আশেপাশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋন করে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা প্রদান করে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে জানান, আজ দুপুরে শহরের কালীর বাজারের তিনটি মাংশের দোকানে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমুন নেসা । যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া হয়েছে । প্রথমে বোস কেবিনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করার কথা না বললেও প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করে শাহজাহান আরো বলেন, হ্যা অপরিচ্ছন্নতার করণে বোস কেবিনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে যা আর ফেসবুকে দেয়া হয় নাই, আর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন শামসুল আরেফিন । চায়ের দোকানে এতো জরিমানার এবং সমালোচনার বিষয়ে তিনি আরো জানান, এ বিষয়টি একান্তই ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে।
ঘটনাস্থল বোস কেবিনে থাকা শহিদ, আনোয়ার, সুশান্ত, রতনসহ অনেকেই সমালোচনা করে বলেন, শহরের প্রতিটি খাবারের দোকনে নোংড়া পরিবেশ রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং থাকলে আমরা শহরবাসী নোংড়া খাবার খেয়ে অসুস্থ হতে হতো না। এমন কোন রেস্তোরা নাই যেখানে পচা, বাসী খাবার বিক্রি করে না । জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন যদি কঠোর মনিটরিং করতো তবে সকল হোটেল রেস্তোরা ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়ে যেতো। কিন্তু শুধু মাত্র বোস কেবিনের পানিতে ময়লা থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা এটা কেমন কথা হলো ? সাম্প্রতিক সময়ে এক পরিবহন সন্ত্রাসী যিনি একটি পরিবারের দোহাই দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে তার ডিম ভেজে না দেয়ার ঘটনায় তান্ডব চালানোর সংবাদ প্রকাশ হওয়ার জের হিসেবেই আজকের এই ঘটনা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আর এখানে অনেক রাজনৈতিক নেতারা আড্ডা দেয়, চা নাস্তা করে, তার জের ধরেই গভীর চক্রান্ত করে বোস কেবিনে আজকের ঘটনার সৃস্টি। তা না হলে ম্যাজিস্ট্রেট যে কোন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে সংবাদকর্মীরা ছবি তোলে কিন্তু আজকে কেউ কেউ ছবি তুলতে গেলে তাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে কি কারণে ?
এমন সমালোচনা সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে।
এ বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সু দৃস্টি কামনাও করেছেন অনেকেই।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে বোস কেবিনের মালিক তারক বোসের মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করার কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নাই ।
Discussion about this post