প্রায় ১০ বছর পর এবার র্যাব ১১ এর অভিযানের কারণের গ্রেফতার করা হয়েছে কুমিল্লার চোরাইকারবারীদের নিষিদ্ধ ভারতীয় পন্য । নারায়ণগঞ্জে ডিবি পুলিশ, সোনারগাঁ থানা পুলিশ, বন্দর থানা পুলিশ, ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও ফতুল্রা থানা পুলিশকে নিয়মিত মিাসোয়ারা দিয়ে ভারতীয় নিষিদ্ধ বিভিন্ন ধরণের পন্য সামগ্রী পাচার করে আসছিলো কুমিল্লার প্রায় ১৫ টি চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ।
কুমিল্লা ছাড়াও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ও নারায়ণগঞ্জ দিয়ে ট্রানজিট করায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সকলকে ম্যানেজ করে চোরাই কারবারী ১৫ সিন্ডিকেট বছরের পর বছর যাবৎ এমন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো ।
নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর এই চোরাই পন্য ধরা পরলো । তা আবার র্যাব বলেই ধরছে । নাইলে পুলিশের কেউ এই পন্য ধরতো না । কারণ এই পন্য নারায়ণগঞ্জ দিয়ে প্রবেশের পূর্বেই গ্রীন সিগনাল নিয়েই পন্যবাহী মালামাল নিয়ে গাড়ী বোঝাই করে মাঠে নামে । সিগনাল না পেলে কুমিল্লার এই চোরাই কারবারী সিন্ডিকেট কখনোই পন্য ছাড় দেয় না । আর কুমিল্লার বর্ডার ও জেলা প্রশাসন কি করে তা তাদের বিষয় ।
পুলিশের এই সূত্র আরো জানায়, কুমিল্লার চোরাইকারবারী চক্রের চেলা গ্রেফতারকৃত মোঃ মাসুদ রানা (৪০) কে টেস্ট চালান হিসেবে ৬০০ ভারতীয় শাড়ি দিয়ে পাঠানো হতে পারে । কারণ কুমিল্লার চোরাই কারবারী ১৫ সিন্ডিকেট বিশাল শক্তিশালী । এরা পুলিশের এসপি ও ডিসিকেও বদলী করে দিতে পারে । এরা এতো কম চালান ভারত থেকে আনবে তা অবিশ্বাস্য ।
নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ১০ বছর পূর্বের চোরাই কারবারী সিন্ডিকেটের ফিরিস্তি দেখলেই বেড়িয়ে আসবে চোরাই কারবারী চক্র কি পরিমাণ মালামাল আটক করে মামলা দিয়েছিলো । আর গেলা ১০ বছরে কয়টা মামলা হয়েছে তার ফিরিস্তি দেখলেই ধারণা করা যাবে কুমিল্লার এই ১৫ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট কি ভাবে ম্যানেজে রেখেছে নারাযণগঞ্জ প্রশাসনকে ।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড হতে ভারতীয় শাড়ী চোরাচালানের দায়ে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১১।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন মোঃ মাসুদ রানা (৪০)।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (হাজী ইব্রাহিম খলিল শপিং কমপ্লেক্স) এর সামনে পাকা রাস্তার উপর চেকপোষ্ট স্থাপন করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় একটি প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ভারত হতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় শাড়ী চোরাচালানের ৬০০টি ভারতীয় শাড়ী উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ব্যবসায়ীর হেফাজত হতে অবৈধভাবে ভারতীয় শাড়ী পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সিপিএসসি আদমজীনগর) মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মাসুদ রানা কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন বিষ্ণপুর এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেটকার চালকের ছদ্মবেশ ধারন করে ভারত হতে অবৈধভাবে চোরাই পথে ভারতীয় শাড়ী নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রয় করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Discussion about this post