নারায়ণগঞ্জ শহরে হঠাৎ করে এবার কাদিয়ানী ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে মাওলানা আউয়ালপন্থী আলেম – ওলামা সংগঠনের নেতাকর্মীরা । বেশ কিছুদিন যাবৎ শহরের চাষাড়াস্থ নূর মসজিদ সংলগ্ন মদের আস্তানা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর শহরবাসী আশাবাদ ব্যক্ত করে আসছেন মাওলানা আউয়াল ও তার অনুসারীরা সকল সভা সমাবেশে বক্তব্য দেন, ইসলামের জন্য যে কোন সময় তারা নারায়ণগঞ্জের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারেন ।
এমন বক্তব্য প্রায়ই মাওরানা আউয়াল ও তার অনসুসারীরা প্রদান করলেও শুক্রবার জম্মার নামজের পর বিশাল মিছিল নিয়ে চাষাড়া সমাবেশ করলেও কেউ নূর মসজিদের পাশে মদের আস্তানা নিয়ে কোন মন্তব্য না করা উপস্থিত অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন ।
এনএনইউ ডেক্স :
‘নবীর পর নবী নাই, সংসদের আইন চাই’, ‘কাদিয়ানীরা কাফের’। এমন নানা শ্লোগানে নগরীতে গণমিছিল শেষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে
শুক্রবার (২৪জানুয়ারি ) বাদ জুম্মা ডিআইটি জামে মসজিদ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে চাষাঢ়া পর্যন্ত যায়।
চাষাঢ়া শহীদ মিনারের গেইটে সংক্ষিপ্ত সভায় আন্তজার্তিক তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির সভাপতিত্ব করেন ।
যদিও গণমিছিলটি ছিল আগামী ১ফেব্রুয়ারি (শনিবার) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে এ গণমিছিল বিক্ষোভে রূপ নেয়। গণমিছিলে বক্তারা কাদিয়ানীদের বিপক্ষে নানা স্লোগান দেয় ।
পহেলা (১) ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আন্তজার্তিক তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর।
গণমিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা জাকির কাসেমী ওলামা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা, বাবুরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা ইমরানসহ আরও প্রমুখ।
নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, “আমরা মনে করেছি মদের বার বিরোধী সমাবেশ হয়তো হতে পারে । ঘোষনা আসতে পারে মদের আস্তানার বিরুদ্ধে । কিন্তু শহরের এই মদের বারের বিরুদ্ধে কোন বক্তারাই কোন বক্তব্য রাখেন নাই ।”
এমন বিশাল মিছিল সমাবেশ শেষে উৎসুক অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতিক সময়ে মাওলানা আউয়াল মদের আস্তানা নিয়ে চুপ থাকায় সমালোচনার জের হিসেবেই তিনি এই শো ডাউন দেখালেন । মূলতঃ নিজের অবস্থান দেখাতেই ডিআইটি মসজিদ থেকে এই মিছিল শহরের পদক্ষিন করার ব্যবস্থা করেছেন মাওলানা আউয়াল নিজেই । এই মিছিল আউয়ালপন্থিদের আরেক নতুন রাজনীতি বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ ।
Discussion about this post