করেনা ভাইরাস নিয়ে সারাদেশের পুলিশ যখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানব কল্যানে ব্যস্ত সেখানে ফতুল্লা থানার এএসআই গাফফার ব্যাস্ত ঈদ হান্টিংয়ে। বাড়তী নগদ অর্থ উপার্জনে মরিয়া হয়ে চষে বেড়াচ্ছে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল ।
এমন এক ঈদ হান্টিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশের এই সদস্য ।
গত ৫/৬ দিন যাবৎ করোনা ভাইরাসের এমন ক্রান্তকালে পুলিশের এই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার ভোর রাতে তরাশ নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৬৫ বোতল ফেনসিডিল সহ আলীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এএসআই গাফফার।
এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় একটি মাদক মামলা ও রুজু করা হয়। মাদক মামলায় তরাশ সহ আসামী করা হয় কবির নামক অপর এক মাদক ব্যবসায়ীকে।মামলায় কবিরকে পলাতক আাসামী দেখানো হয়েছে ।
কিন্তু মামলায় যে কবির কে পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে তার দাবী রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লা থানার এএসআই গাফফার, কনেস্টেবল ইকবাল,কনেস্টেবল মনির তার বাসায় এসে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আটক করে । আটকের পর কবিরের বাসায় চালানো হয় ব্যাপক তল্লাসী।
তল্লাসীর পর মাদক ব্যবসায়ী তরাসের ভাষামতে মাদক ব্যবসায়ী কবিরকে গ্রেফতার করে ভোররাতেই শুরু হয় জোড়ালো তদ্বির। তদ্বিরের এক পর্যায়ে দুই দফায় (প্রথমে ২০ হাজার ও পরে আরো ২০ হাজার টাকা) ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সূর্যোদয়ের পুর্বেই মাদক ব্যবসায়ী কবির কে ছেড়ে দিয়ে তরাশকে নিয়ে থানায় হাজির হলে আলীগঞ্জ এলাকায় শুরু হয় জোড়ালো সমালোচনা । সেহেরি খেয়ে এলাকার মুসুল্লিদের নধ্যে বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে সমালোচনার তুংগে উঠে আসে এএসআই গাফফারের ঈদ হান্টিংয়ের বিষয়টি।
ফতুল্লার মুসুল্লিগণ অনেকেই বলেন, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল যেন মাদকের হাট বাজারে পরিনত হয়েছে । গাফফার ছাড়াও অনেক পুলিশ সদস্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মাত্র কয়েক গজের মধ্যে চাদমারী বস্তির মাদকের এই বিশাল হাট বাজারের খবর কে না জানে ? অভিযোগ অনেক থাকলও করোনাকালের পুলিশের এতো ত্যাগ ম্লান করে দিচ্ছে অসাধু কিছু সদস্য ।
৬৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে ৩০ বোতল দিয়ে মামলা এবং মাদক ব্যবসায়ী কবিরকে আটক করেও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে ফের মামলার আসামী করার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই গাফফার নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, আমি কবিরকে গ্রেফতার করতে খুজে বেড়াচ্ছি । আর এই অভিযোগ মিথ্যা।
এমন মাদকের বিষয়ে জানতে ফতুল্লা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত শাহাদাত হোসেন নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, আমার থানায় ২৫ জন পুলিশ সদস্য করোনা যুদ্ধে আক্রান্ত । তাদের জন্য দোয়া চাই । আর যারা এই মহামারীর যুদ্ধকালীন সময়ে এমন অভিযোগ সত্যি কষ্টদায়ক । মাদকের এমন অভিযোদের বিষয়গুলি নিয়ে অচিরেই কঠোর অবস্থানে নামবো আমরা।
Discussion about this post