পুলিশের তৎপরতা না থাকায় নারায়ণগঞ্জ থানা এলাকার আলীরটেক ইউনিয়নে প্রায়ই নানা অঘটনের খবর পাওয়া যায় । তুচ্ছ ঘটনা কিংবা জমি সংক্রান্ত নানা ঘটনায় স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হলেই হামলা ও খুনের মতো ঘটনাও ঘটে চলেছে । চরাঞ্চলখ্যাত আলীরটেক এলাকায় এমন ঘটনায় যেমন তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ হাজির হতে পারে না ঠিক তেমনি জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতেও বহুপথ পাড়ি দিতে হয় ভুক্তভোগিদের ।
তেমন পুলিশ তৎপরতা না থাকায় তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এক লংকাকান্ড ঘটিয়ে বিদেশে পারি জমাতে যাচ্ছে হামলাকারীচক্র । কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে মূল হামলাকারী রবিউল আউয়ালের পুত্র দৌলত (৩২) ও আলমগীর (৩৫) ।
অপরদিকে হামরাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন একই এলাকা কুড়েরপাড়ের আবদুর রহমানের পুত্র ইব্রাহিম (২৮) । ইব্রাহিমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
ঘটনার বিবরণে চিকিৎসাধীন ইব্রাহিমের মা মাজেদা খাতুন বলেন, আামাদের বাড়ির জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দীর্ঘদিন নিকটাত্মীয় রবিউল আউয়ালের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো । এমন বিরোধ মীমাংশা করতে এবং জমির মাপ নির্ধারণ করতে শালিশী ও এলাকার পঞ্চায়েতের মুরুব্বীগণকে অবহিত করা হলেও বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে কারো সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই আমাদের জমির উপর বাউন্ডারী দিতে শুরু করে । এমন বাউন্ডারীর বিষয়ে জানতে চাইতেই আবদুল আউয়াল, তার স্ত্রী সজিমুন নেছা, তার পুত্র আলমগীর ও দৌলত আমাদেরকে গালিগালাজ ও পরবর্তীতে আমাদের উপর হামলা চালায় । এক পর্যায়ে আমার ছেলে ইব্রাহিমকে শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা ও চোখে গুরুতর যখম হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পরে । এমন হামলার পরে এলাকাবাসী আমদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল আনা হলে দ্রুত আমার ছেলে ইব্রাহিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ।
এখানে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আমার ছেলে ইব্রাহিম । এমন হামলার বিচার দাবী করেছেন ইব্রাহিমের মা । এমন হামলার বিচার দাবী করেছেন মজেদা বেগম । এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি ।
Discussion about this post