এনএনইউ রিপোর্ট :
টানটান উত্তেজনা, নির্বাচনী উত্তাপের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি নির্বাচনী আসনের বিপরীতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে এবং উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে আওয়ামীলীগসহ মহাজোট, বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট স্বতন্ত্র এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৫০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ।
মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসেই প্রায় সকল প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। মিছিল করে, দল বেধে জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার হাতে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে তুমুল হট্টগোলের চিত্র দেখা গেছে ।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ, গত মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বুধবার মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন । জমা দেয়ার সময় কোন অবস্থাতেই ৫/৭ জনের বেশী লোক একজন প্রার্থীর সাথে আসতে পারবে না । কেউ ৫/৭ জনের বেশী লোক নিয়ে আসলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রার্থীর বিরুদ্ধে । এমন নিদেশনার পরও নারায়ণগঞ্জের প্রায় সকল প্রার্থী আচরণ বিধি ভঙ্গ করতে দেখা গেছে ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা) থেকে জানা যায়, সকাল থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন । সকাল থেকেই প্রার্থীরা আসতে শুরু করেন জেলা প্রশাসকে রাব্বি মিয়ার কার্যালয়ে । এ ছাড়াও অনেকেই উপজেলা নির্বাহী প্রধানের কাছেও জমা দেন মনোনয়ন পত্র । সেই হিসেবে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী জমা দেন মনোনয়ন । এ বিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রার্থীদের চূড়ান্ত হিসাব দিতে পারে নাই জেলা নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান ।
মনোনয়ন জমা দেয় প্রার্থীদের তালিকা :
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে (সদর ও বন্দর) জাতীয় পার্টি থেকে সেলিম ওসমান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে এস এম আকরাম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আবু নাঈম খান বিপ্লব, বিএনপির প্রার্থী আবুল কালাম, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, কমিউনিষ্ট পার্টির (সিবিপি) এড. মন্টু ঘোষ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহদুর শাহ মোজাদ্দেদী, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির মেজর (অব:) আফতাব ।
রায়ণগঞ্জ-৪ আসনে (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) মনোনয়নপত্র জমা দেন-আওয়ামীলীগের শামীম ওসমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমাদ পলাশ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জাতীয় পার্টি থেকে সালাউদ্দিন খোকা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সেলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির (সিবিপি) ইকবাল হোসেন, জমিয়তে ইসলাম’র মুফতি মনির হোসেন কাসেমী, বিএনপির প্রার্থী শাহ আলম, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, বিপ্লবী ওর্য়াকার্স পার্টির কমরেড মাহমুদ হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসন (রূপগঞ্জ) বিএনপি থেকে মনোনয়নত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, এড. তৈমূর আলম খন্দকার, আওয়ামী লীগ থেকে গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আজম খান, জাকের পার্টি থেকে মাহফুজুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসন (আড়াইহাজার) থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন-আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির (সিবিপি) হাফিজুল ইসলাম, বিএনপির প্রার্থী আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, নজরুল ইসলাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়, জাকের পার্টি থেকে মুরাদ হোসেন জামাল।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে (সোনারগাঁ) থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন- আওয়ামীলীগের আব্দুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা, ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, বিএনপির প্রার্থী আজাহারুল ইসলাম মান্নান, শাহবুদ্দিন ভূইয়া, জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সাল মোজাদ্দেদী ।
Discussion about this post