নারী ব্যবসা ও নারী দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে নানা অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনার পর ক্রাইমজোনখ্যাত ফতুল্লার কাশিপুর এলাকার সর্বত্র মাদক ব্যবসা, বিভিন্ন ফ্ল্যাটে নারী দিয়ে ব্যবসা, জমি দখল করে চাঁদাবাজি, প্রতিনিয়তঃ শালিশীর নামে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড, যে কেউ কাশিপুরে বাড়ী নির্মান করতে হলে চাঁদা দিতে হবেই, একাধিক খুনের ঘটনায় নেপথ্যের কৌশলী হোতা, অটো রিক্সা চালকদে;র কাছ থেকে নিয়মিত চাাঁদবাজিসহ এমন কোন অপরাধ নাই যা এই কুক্ষাত অপরাধী আনিসুর রহমান শ্যামল ও তার বাহিনী দিয়ে সংগঠিত হয় নাই । এতো অপরাধ ছাড়াও খোদ সরকারী সম্পত্তি দখল করে অবৈধ ড্রেজার স্তাপন করে চালিয়ে আসছিলো নানা অপকর্ম । এতো অপরাধের পর এবার ধরা পরেছে ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা দিতে গিয়ে এবার নিজেই আসামী হয়ে কারাবাস করার পর খোদ দলীয় অবস্থানও হারাতে হয়েছে নানা অপরাধের কারণে
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
ফতুল্লায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মীমাংসা করার নামে আসামিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান শ্যামলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আনিসুর রহমান শ্যামল ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষরিত শ্যামলের বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়।
বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, ফতুল্লার কাশীপুরে এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে বাঁচাতে মিমাংসা করার কথা বলে কিশোরীসহ তার মাকে শ্যামলের অফিসে ঢেকে নিয়ে যায়। মিমাংসার নামে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। আর এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলায় আনিসুর রহমান শ্যামলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মর্মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়। আর সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে সংশ্লিতার অভিযোগে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোবেক আনিসুর রহমান শ্যামলকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসাথে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে সংগঠনের চেয়ারম্যান/সাধারণ সম্পাদক এর বরাবর তার লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী জানান, শ্যামলকে বহিষ্কারের আদেশের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে অবগত করেছেন ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে ফতুল্লা থানা এলাকার একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , ফতুল্লার এক বিগত দিনে গডফাদারকে নিয়মিত নারী দিয়ে সন্তুষ্ট করার পর বিএনপির চেলা হিসেবে পরিচিত শ্যামলকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় ওই গডফাদার । মাদ্রাসায় সামান্য লেখাপড়া করলেও কাশিপুরের দন্ডমূন্ডের কর্তা সিহেবে অধিষ্ঠিত করে ওই শ্যামল । ওই গডফাদারের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে টানবাজার পতিতা পল্লীর এক দালাল । পতিতাপল্লীর এই দালাল বিএনপি সরকারের শাসনামলে কাশিপুরের গিয়াস ডাকাতের বাড়ীতে নারী দিয়েও নাানভাবে সহায়তা করতো । নারী ও অনৈতিক অর্থ লোভের কারণে ফতুল্রার অনেক অপরাধীরা সকল ধরণের অপরাধ করে যাচ্ছে বিরামহীনভাবে । আর ওই গডফাদারকে সন্তুষ্ট করে এতো সকল অনৈতিক কর্মকান্ড আনিসুর রহমান শ্যামল করতো যা মুখে আনতেও পাপ হবে বলে মনে করেন এলাকার অনেকেই । নারী কেলেংকারী মারাত্মক আকার ধারণ করায় শেষ পর্যন্ত আরেক কিশোরীকে বিয়ে করে শ্যামল । যিনি এখন অন্তঃস্বত্তা । এমন ঘটনা নিয়ে কাশিপুরে রয়েছে নানা সমালোচনা ।
Discussion about this post