নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা প্রশাসনের একাধিক সংস্থা, বিএসটিআই, সিটি কর্পোরেশন, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টরসহ আইনপ্রয়োগকারী অন্যান্য সংস্থা কোন কাজ না করায় এবার জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের কঠোর নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ সাড়াসী অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করে । এমন ঘটনায় অন্যান্য সংস্থার প্রতি সাধারণ মানষের ধিক্কার জানিয়ে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে সাধুবাদ জানাতে দেখো গেছে । আবার অনেকেই বলেছেন অন্যান্য সংস্থা নিয়মিত এই বেকারীর মালিকের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নেয়ার কারণে কোন াভিযান দেখা যায় নাই !
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেলার সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকার জিল্লুর বেকারি নামে একটি বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয় ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় ওই বেকারিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায় আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়ার প্রস্তুতি চরছে বলেও জানা গেছে ।
পশ্চিম তল্লা এলাকার মফিজের ছেলে জিল্লুর, জিল্লুর বড় ভাই আলমগীর, বেকারির কর্মচারি ওমর ফারুক ও সোহরাব কে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের অভিযানকারী সদস্যরা ৷
এ বিষয়ে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সায়েম বলেন, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে জিল্লুর বেকারি নামে এই বেকারিতে খাদ্য পণ্য তৈরি করা হচ্ছিল ৷ এমন সংবাদে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাই৷ এ সময় জিল্লুর, আলমগীর, ওমর ফারুক, সোহরাব নামে চারজনকে আটক করা হয়৷ আটক জিল্লুর নামে এই বেকারি পরিচিত হলেও বেকারিটি পরিচালনা করতেন জিল্লুর ভাই নাঈম ৷ তবে সে পলাতক রয়েছেন ৷
তিনি আরও বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক সাজা দেওয়া হবে ৷
বিকেলে এমন অভিযানের পর তল্লা এলাকার অনেকেই বলেছেন, বেকারী ও খাদ্য তৈরীকারী প্রতিষ্ঠানে আইনপ্রয়োগকারী যে সকল সংস্থা কাজ করার কথা তাদের কোন কাজ দেখা যায় না সাধারণতঃ । সকল সংস্থাই নাকি নিয়মিত মাসোয়ারা নেয়। আবার মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানোর আগেই জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে, সিটি কর্পোরেশন ও জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টরের পক্ষ থেকে সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে ফোন দিয়ে দেয় । ফলে যথাযথভাবে অপরাধীদের ধরা কঠিন হয়ে পরে । এবার পুলিশের কেউ অভিযান চালাতে পারে এমন ধারণাই ছিলো না বেকারীর লোকজনের । কারণ পুলিশ নিজ উদ্যোগে এমন অভিযান চালাতে পারে না বলে ধারণা ছিলো তাদের ।
Discussion about this post