বন্দরে একটি চুন কারাখানার পাথর ভাঙ্গার মেশিনের থেকে পাথর পড়ে আব্দুল আজিজ (৫৫)নামের শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই মৃত্যু নিয়ে নিহতের স্বজনদের কোন আপত্তি বা অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তেই মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে স্থানীয় পর্যায়ের অনেকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, নানা ভয়ভীতি ও প্রলোভনে ফেলে নিহতরে দরিদ্র পরিবারকে কোন মামলা না করতে চাপ দেয় আউয়াল এন্ড ব্রাদার্স কেমিক্যাল নামক চুনা কারখানার রোকজন । এর সাথে কিছু দালাল টাকার বিনিময়ে পরিবারকে ম্যানেজ করেই যাতে মামলা না হয় নেই জন্য ব্যাপক তদ্বির চালিয়ে সফল হয়। একই সাথে পুলিশের কিছু সদস্যও আউয়াল এন্ড ব্রাদার্স কেমিক্যাল নামক চুনা কারখানা কর্তৃপক্ষের রোকজনের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে।
রোববার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় আউয়াল এন্ড ব্রাদার্স কেমিক্যাল নামক চুনা কারখানায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত আজিজ মুছাপুর ইউপির ভাটগাঁও গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি ওই কারখানায় মেশিন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বন্দর থানা পুলিশ ৯৯৯ কল পেয়ে বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করেন।
জানাগেছে, উপজেলার ধামগড় ইউপির কৈড়ইয়াবাড়ি এলাকার আউয়াল মিয়ার মালিকানাধীন মদনপুর ইউপির কেওঢালা এলাকায় অবস্থিত আউয়াল এন্ড ব্রাদার্স নামে চুন ফ্যাক্টরীতে পাথর ভাঙ্গার মেশিন অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন আব্দুল আজিজ।
প্রতিদিনের ন্যায় রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আজিজ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ওই সময় মেশিনের হাভার কাত হয়ে উপর থেকে পাথর পড়ে আজিজের মাথা, পায়ে-হাতে ও বুকে আঘাত লাগে এবং এতে সে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এলাকবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানায়, ‘গ্যাস চুরিসহ নানা অনিয়ম ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে কোন ধরণের নিরাপত্তা ছাড়াই চলছে এই চুনা ফ্যাক্টরী। আর চুনা ফ্যাক্টরীতে কি হয় তা সকলেই জানেন। আর এই অসহায় শ্রমিক মরলে দুই – আড়াই লাখ টাকাসহ থানা ম্যানেজ তো সব ম্যানেজ। এভাবেই চলছে এই মরণ কারখানা ।‘
Discussion about this post