বন্দর উপজেলা চিহ্নিত রাজাকারপুত্র চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন তার স্ত্রীর করা মামলায় জামিন পেয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুন) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ মাসের জামিন দেন।
তার পক্ষে মামলায় শুনানি করেন সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
গত ২০ জুন সাবেক স্ত্রীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় কারাগারে যান তিনি। ওই দিন তিনি আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গত ২৩ এপ্রিল মাকসুদের দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলা রেকর্ড করে বিষয়টি তদন্তের জন্য বন্দর থানাকে নির্দেশ দেন৷ পরদিন বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি রেকর্ড হয় ৷
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মাকসুদ হোসেন ১৯৯৮ সালে সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন এবং এ পরিবারে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মাকসুদের আগে বিয়ে হলেও সুলতানা তা জানতেন না। তাদের বিয়ের দুই বছর পর মাকসুদ তার পৈতৃক সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে টাকা আনতে চাপ দেয় অভিযোগ। সে টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত তার স্ত্রী ও মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়িতে রেখে যায় এবং কদাচিৎ যোগাযোগ করতো বলে অভিযোগ সুলতানার। এরপর ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন এ নারী ৷
Discussion about this post