অবশেষে নানা চড়াই উৎরাই শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) দিবাগত রাতে তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান।
তার কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপি নেতা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার। জ
এর পুর্বে ১৩ টি মামলার তার রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এসব মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে থাকায় তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, ১৩ মামলায় গিয়াসউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি উচ্চ আদালত থেকে এসব মামলায় জামিন পাওয়ায় আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন।
১৩ মামলার মধ্যে রয়েছে বন্দর থানায়j ১ টি, সোনারগাঁ থানায় ২ টি, ফতুল্লা থানায় ৪ টি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪টি, রূপগঞ্জ থানায় ১ টি ও আড়াইহাজার থানায় ১ টি মামলা।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গিয়াসউদ্দিন গত ১২ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ১৬ মে পুলিশ তাকে গত বছরের পহেলা নভেম্বর আড়াইহাজার উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ২৬ মে গিয়াসউদ্দিনকে ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। ১২টি মামলার মধ্যে ফতুল্লা মডেল থানার চারটি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চারটি, সোনারগাঁ থানার দুইটি, রূপগঞ্জ থানার একটি ও বন্দর থানার একটি মামলা রয়েছে।
Discussion about this post