ঢাকা সিলেট, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
আর এমন লোমহর্ষক নানা কায়দায় ছিনতাই করা মোবাইল এক্কেবারে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে থানা ও ডিবি পুলিশসহ আইনশৃংখলা বহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের ক্যাশিয়ারখ্যাত রফিক নিজেকে র্যাব পরিচয় দিয়ে এবং মোবাইল চোরচক্রের গডফাদার মিঠুন নিজেকে র্যাব ও ডিবির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অপরাধের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেই স্কিনে ভেসে উঠে Rofek vai Rab এবং DMD Mithun
ফলে প্রকাশ্যে কাঁচপুর ফ্লাইওভারের নীচে ফুটপাতের সড়ক দখল করে লাইন দিয়ে চোরাই মোবাইলের অসংখ্য দোকান থাকলেও মোবাইল ছিনতাইকারী ও চোরাই মোবাইল বেচাকেনার সাথে জড়িত কোন অপরাধীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে না কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ কিংবা নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ অথবা থানা পুলিশের কেউ। অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যর্থতায় র্যাব ৩ আটক করলো মোবাইল চোর চক্রের দুই হোতাদের।র্যাব ৩ এর সাফল্য দেখাতে পারলেও ! কি করে নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা বাহিনী ? (এমন মন্তব্য অসংখ্য ভূক্তভোগীর)।
নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বরত আইনপ্রয়োগকারী কোন সংস্থার কর্মকর্তারা বিশাল এই ছিনতাইকারী চক্রের কোন সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এবার অভিযান চালিয়ে সোনারগাঁ থেকে মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯৩টি চোরাই মোবাইল ফোন, ২০টি মোবাইলের ব্যাটারি এবং নগদ ৪ হাজার ৮১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- চাঁদপুরের ছেংগারচরের হাজীপুর এলাকার মো. ছানা উল্লাহর ছেলে মো. জুয়েল (২৯) ও মান্দারতলী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে মোক্তার হোসেন (৩৫)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চোরাই এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলেন। এসব মোবাইল ফোন দেশের বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সদস্যরা স্বল্পমূল্যে কিনে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, সোনারগাঁওয়ে এমন চোরাকারবার ও পুরো অঞ্চলের অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা কারী স্থানীয় মেম্বার শাহ আলমের ভাই মাহবুব প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ ও র্যাবের নাম ব্যবহার করে বিশাল চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কাঁচপুরের সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এমন চাঁদাবাজির নেপথ্যে পুলিশ, ডিবি ও র্যাব কতটা দায়ী তার খোজ নিতেও নিজ নিজ দপ্তরের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকে।
Discussion about this post