“আমার জানায়ায় অংশ গ্রহণ করার আহবান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছি।” ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকারের এমন অবস্থানের ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে সাব্বির আলম খন্দকারকে। এমন হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন মন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরী লাশ দেতে এসে রোশানলে পরেন বিক্ষুব্ধ জনতার।
এমন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় কাটায় কাটায় ২০ বছর পর ছোট ভাইয়ের খুনের বিচার চেয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক শাম্মী আক্তারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
এ মামলায় আসামি জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তৈমূর। আগামী ৬ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আসামী পক্ষের আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, এটি ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলা । দীর্ঘদিন পর আজ প্রথম মামলার বাদী সাক্ষ্য দিতে এসেছেন। আমরা জাকির খানের পক্ষে জেরা করেছি। আগামী তারিখেও আবার জেরা করা হবে।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রহিম বলেন, আসামী জাকির খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের বড় ভাই তৈমূর সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেছেন।
জাকির খান নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার আসামি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরিচয় গোপন করে গত এক বছর পরিবারসহ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী রুবেল ও বন্দুক সাহিন এরই মধ্যে আইনশৃংখলা বিহিনীর ক্রসফায়ারে মারা গেছেন । আর এই মালার অপর আসামী ছোট বাচচু অসুস্থতার কারণে মুত্যু বরণ করেছে।
Discussion about this post