নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভেতরে বানিজ্যিক স্কুল গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে কিন্ডার গার্ডেন স্কুল পরিচালনা বন্ধ করার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা ।
সোমবার বিকেলে (১৯ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন সালাম নামের এক ব্যক্তি। এর আগে সোনারগাঁ উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিবের বরাবরে অভিযোগ জমা দেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভার পূর্ব সাহাপুর কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। এটি জাতীয় শ্রেষ্ট সন্তান বসার স্থান। কিন্তু সেই ভবনটিতে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করছে। যা উপজেলা প্রশাসনও জানে না। এ নিয়ে এ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের মধ্যে।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, সরকারি অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এখানে অবস্থান সহ নানা কর্মকান্ড চালিয়ে যাবেন মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ সেই ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একটি স্কুল বানানো হচ্ছে। চলতি বছর থেকে এটি চলার কথা। স্কুলটির পাঠদানের অনুমতিও নেই। শুরুর দিকে অনেকে না করলে যারা এটি বানিয়েছে তারা কারো কথা শুনেনি। স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া না হলে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে জানাবেন বলে জানান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলেয়া বেগম জানান, আমরা সাময়িকভাবে এখানে স্কুলটি রেখেছি, পরবর্তীতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান, এটি ঠিক নয়। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ব্যক্তিগত স্কুল বানিয়ে ব্যবসা করা ঠিক নয়। এটি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল-ইসলাম জানান, মুক্তিযোদ্ধা ভবনে স্কুল বাণিজ্য চলতে পারে না। কিন্ডার গার্ডেন স্কুল পরিচালনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান কারও ব্যক্তি মালিকানা নয়, ইচ্ছে করলেই যে কেউ কিছু করতে পারে না। বিষয়টি আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। যদি কেউ করে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহন তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রঞ্জিন কুমার দাস।
Discussion about this post