সোনারগাঁয়ে সামিয়া আক্তার সোহা নামে ১৫ মাস বয়সের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটির মা উর্মি আক্তার মুক্তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার ঝাউচর এলাকায় একটি চারতলা ভবনের নিচ তলার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসি ও সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানায়, স্থানীয় মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানির নৈশ প্রহরী শামীম আহম্মেদ তার স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ঝাউচর এলাকায় মহসিন বেপারির চার তলা বাড়ির নিচ তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন। প্রতিদিনের মতো রাতের ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে বাসায় ফিরলেও স্ত্রী দরজা না খোলায় প্রতিবেশী লোকজনকে ডেকে আনেন তিনি। পরে সবাই মিলে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন মেঝেতে শামীম আহমেদের শিশু কন্যা সোহারের মরদেহ এবং পাশে স্ত্রী মুক্তা আহত অবস্থায় পড়ে আছেন।
পরে আহত মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় ।
পরিবারের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, নিহত শিশুর বাবা শামীম আহমেদ তার স্ত্রীর কাছ থেকে জেনে আমাদের জানিয়েছেন, শিশু সোহার সকালে বাথরুমে গিয়ে বালতিতে পড়ে মারা যায়। মেয়ের এমন করুণ মৃত্যু দেখে মা মুক্তা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ধারালো কিছু দিয়ে নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিজেই আঘাত করেন। এতে রক্তপাত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে ঘরের মেঝেতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের কোন অভিযোগ নেই। নিহত শিশুটির বাবা বিনা ময়নাতদন্তে মেয়ের লাশ দাফনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।এলাকাবাসিও তার পক্ষে অনুরোধ করেছেন। তাই শিশুটির মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Discussion about this post