সরকারি কোনো নিদের্শনা না থাকলেও সাংবাদিক ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসানের ব্যক্তি আদেশে চলছে এই নির্দেশনা।
নিজের দুর্নীতি ডাকতে আনসার সদস্যের দেয়া হয়েছে এই কঠোর নির্দেশ।
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি এসব মনগড়া মৌখিক নিদের্শনা জারি করেছেন। তার এমন বেপরোয়া আচারণে সাংবাদিকরা মনে করছে, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ’যেনো সোনার খনি’। ঢুকলেই কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়ে আসবে।
সম্প্রতি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের একজন সমান্য কর্মচারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরপর থেকে ভয়ে রয়েছে দুর্নীতিতে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া এসব কর্মকর্তারা। যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে কোনো সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসান।
এ ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত কঠোর নির্দেশ রয়েছে আনসার সদস্যের প্রতি। যেন আর কোনো সাংবাদিক ঢুকতে না পারেন । তবে অনিয়মের প্রতিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে কিছু না বলে বরং সাংবাদিকদের সঙ্গে র্দুব্যবহার করছেন।
সোমবার (১ জুলাই) গণমাদ্যমকর্মীরা অফিসিয়ালি এ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে একটি বিষয় অনুসন্ধানে গেলে তাদের গেটে আটকে দেয়া যায়। এ সময় আনসার সদস্যরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসান নির্দেশে তাড়িয়ে দেয়া হয় ।
আগে উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ রোহিঙ্গাদের পার্সপোর্ট করে বিষয়ে তথ্য যাচাইয়ের ফোন নাম্বারে কথা বললে তিনি অফিসিয়ালি বক্তব্য দেয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে এসে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বলার অনুরোধ করেন। পরের রুকুনুজ্জামান ভূঁঞাকে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ধরেন নাই।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পাসপোর্ট অফিসের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেন উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসান। তার প্রধানসহযোগী হলেন, প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা হওয়া সেই অফিসের সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মোস্তফা কামাল খান ।
অনিয়মের নিয়ন্ত্রণের আরো রয়েছে, উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ রুকুনুজ্জামান ভূঁঞা, আনসার কামান্ডারসহ একাধিক আনসার সদস্যরা। এর আগে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অর্ধ ডজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অফিসটি দালাল এবং দুর্নীতিমুক্ত কথা বলা হলেও সেখানে চলছে আগের চলছে নানা অনিয়ম।
উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসানের ব্যক্তি নিদের্শনা জারি’র বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হয় । কিন্তু তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে ক্ষুদে বার্তা দেয়া হলেও তিনি কোনো উত্তর দেন নাই।
এমন ঘটনায় অনেকেই বলেন, “পাসপোর্ট অফিসে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারেন শুধু দালালরা। দালাল চক্র আর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেন একে অপরের পরিপূরক। নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে আবারো দুদকসহ জেলা প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান জরুরী বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
Discussion about this post