‘আমাদের ওপর আঘাত হতেই পারে। এর আগেও বারবার করেছে। ২১ আগস্টে করেছে। জাতির পিতার কন্যাকে একবার না, ২১ বার মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের প্রতি নির্দেশ আছে শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখতে। আমরা সেটা রাখবো।’ ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে। সময়মতোই হবে। এখন কিছু বাস ভাঙচুর করা হবে, মানুষ পুড়িয়ে ফেলা হবে, শামীম ওসমান মরবে, কিছু আহত হবে, নিহত হবে।
এভাবেই মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক উদ্বোধনকালে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন না, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত করা তাদের উদ্দেশ্য না; তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা বাংলাদেশে যেন একটি পাপেট সরকার আসে। এ সুযোগে দেশটাকে আবারও একটা কলোনিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নির্বাচন হচ্ছে, গাজায় মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, হাসপাতালে আগুন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে মানবাধিকারের প্রশ্ন উঠছে না।’
নিজেদের জনগণের সেবক উল্লেখ করে বলে শামীম ওসমান বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই সবাই উদগ্রীব। এর প্রধান কারণ আমাদের ভৌগোলিক সীমা। ভৌগোলিক সীমার কারণেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চলে পরিণত হয়েছি। এ কারণে কিছু পরাশক্তিসহ বাংলাদেশে যারা আছে বিশেষ করে তারেক রহমানের নির্দেশে তারা যেকোনো পন্থায় এই নির্বাচন বন্ধ করতে চাচ্ছে।’
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, ফতুল্লা থানা যুলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে শামীম ওসমান আরো বলেন, ‘জনগণ যদি মনে করে তাদের সেবক হিসেবে কিংবা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে এটা প্রতিরোধ করার (মতো), তাহলে আমরা জনগণকে নিয়েই তাদের প্রতিরোধ করবো। ওদের চেয়ে জনগণের শক্তি সবচেয়ে বেশি। যাদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, মৃত পুলিশ অফিসারকে চাপাতি মেরে ফেলছে তাদের বোঝা উচিত তারা ধৈর্যের সীমার বাইরে চলে গেছে।’
Discussion about this post