ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান।
বুধবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাঈদ খোকনসহ ৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করেন মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু।
এই দেলু বংগ বাজারের সামনে বসে টং নিয়ে দোকানদারীর কিরতো এবং মেয়র হানিফ জীবদ্দশায় তার ও তার পরিবারের বাড়ির কাজ করতো। এক অর্থে মেয়র হানিফ পরিবারের কাজের লোক এই পরিবারকে ব্যবহার করে নানাভাবে দোকান বাণিজ্য, একের পর এক আগুনে বংগ বাজারের ব্যবসায়ীদের নি:স্ব করে দেলু হয়েছেন আংগুল ফুলে কলাগাছ । সেই দেলু ভোল পাল্টে মেয়র হানিফ পরিবারকে হেয় করে নিজের অপরাধ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে নানা অপকর্মের জন্ম দিয়ে বর্তমানে বিদেশের সেকেন্ড হোমে একমাত্র তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে ও স্ত্রী রেখা কে সাথে নিয়ে মালোশিয়ায় অবস্থান করছেন । বিদেশে থাকাবস্থায় ই দেলু সবশেষ বংগ বাজারে আগুন দিয়ে সকল দোকান পুড়িয়ে বিগত সময়ের মতো দোকান বাণিজ্য করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।
মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও সাত জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- ডিএসসিসির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
যাদের সব সময় পদলেহন করে মহাধুর্ত দেলু তার বাণিজ্য চালিয়ে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আর দেলুর ককর্ম ফাস হয়ে যাওয়ার পূর্বেই এই মামলা করে গাঢাকা দেয়ার পাশাপাশি বর্তমান মেয়রের সান্নিধ্য পেতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
ধুরন্ধর দেলুর পারিবারিক সুত্র থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর কালু মিয়ার মেয়ের জামাই এই দেলু অভাবের কারনে নারায়ণগঞ্জে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করতো । সকালের নাস্তা খেতে আটা রুটির সাথে এক চামচ চিনি জুটতো না যে দেলুর কপালে বর্তমানে সেই দেলুর দেশে বিদেশে ক্যাসিনো ব্যবসা, অসংখ্য বাড়ি, গাড়ি সহ কি নাই দেলু ও তার স্ত্রী রেখার নামে। যার স্বচ্ছ তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে ভয়ংকর তথ্য ।
দেলুর দায়ের করা মামলার আর্জিতে বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা দোকান বরাদ্দের কথা বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে মোট ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৫ টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। বাদী এ লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তাকে প্রাণহানির চেষ্টা করেন। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন কিন্তু কোনও দলিলাদি দেননি।
Discussion about this post