বন্দর উপজেলার কুখ্যাত অপরাধী চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, সরকারি ও বেসরকারি জমি দখলকারী শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী খান মাসুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের রূপালী, আমিন ও ময়মনসিংহ পট্টি এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সন্ত্রাসী খান মাসুদ বন্দর থানা পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ও আশেপাশের এলাকায় সকল ধরনের অপরাধ সাম্রাজ্য চালাতে স্থানীয় শাসক দলের নেতা ও তাদের চেলাচামুন্ডাদের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ সকল অপরাধ চালিয়ে আসছিলো।
সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক খুনের ঘটনায় গা ঢাকা দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখে । এই সুযোগে কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান মাসুদের বিশাল বাহিনী পলাতক থাকায় বিআইডব্লিউটিএ নির্বিঘ্নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারে ।
মঙ্গলবার (৯ মে) দিনভর অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ।
এসময় অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করায় দুই ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে একটি ভেকু দিয়ে অনুমোদনহীন কয়েকটি ডকইয়ার্ডসহ শতাধিক অবৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সেমিপাকা ঘর, টংঘর, ড্রেজারের পাইপ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে অভিযানে শেফা ডকইয়ার্ড, খান ডকইয়ার্ড, আবুল হোসেন ডকইয়ার্ড, খন্দকার ডকইয়ার্ডসহ কয়েকটি ডকইয়ার্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের রূপালী, আমিন ও ময়মনসিংহ পট্টি এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান।
এসময় বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন ও সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কুখ্যাত এই শীর্ষ সন্ত্রাসী খান মাসুদের বিশাল অপরাধ সাম্রাজ্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক উচ্ছেদ করায় পুরো বন্দরবাসী সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি অনেকেরই সমালোচনা করে বলেন, ঘুষ উৎকোচ দিলে সরকারি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তারা তাদের চরিত্র পাল্টাতে বিন্দুমাত্র সময় নেয় না । এমন ঘটনা যেন না ঘটে এবং সন্ত্রাসী চক্র যেন বিগত সময়ের মতো কোন অবস্থাতেই যেন ম্যানেজ না হয় সে দিকে সকলের দৃষ্টি দেয়ার জোর দাবী করেছে বন্দরের সাধারণ মানুষ ।
Discussion about this post