নগরীর ক্রাইমজোন জিমখানার ত্রাস তানভীরকে ওরফে টুন্ডা তানভীরকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশ । র্যালী বাগান এলাকার আবির হোসেন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই অপরাধীকে।
নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে বিকেলে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃত তানভীর (২২) নতুন জিমখানার র্শীষ মাদক কারবারী আলেক জেন্ডারের ছেলে। পেশায় ছিনতাইকারীর হোতা ।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জামান, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে তার মায়ের করা মামলায় আসামী তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে আনা হলে আমলী আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, গত শুক্রবার রাতে জিমখানার মাদককারবারি শাহ আলম, তানভীরসহ আরও কয়েকজন র্যালী বাগানে মাদক বিক্রি করতে যায়। এসময় আবির তাদের বাধা দিলে তারা তাকে মারধর করে। পরে দারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে কাপড় ব্যবসায়ী আবিরকে।
পর দিন শনিবার রাত নয়টার দিকে মন্ডলপাড়ায় এলাকার র্যালি বাগানের গলি ও গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে সামনে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় টুন্ডা তানভীর বাহিনী।
নগরীর অনেকেই বলেন, “নগরীতে কাকডাকা ভোর থেকে পালাক্রমে গভীর রাত পর্যন্ত সকল ধরনের অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়ে আসছে এই অপরাধী চক্র। মাদকের রমরমা কারবার, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, ছিনতাই, চুরি, জুয়া, ব্লাকমেইল, বিদ্রুৎ চুরি, গ্যাস চুরিসহ সকল অপরাধীদের আথড়া এই জিমখানায় রয়েছে একাধিক চক্র। এই চক্রের হোতারা কখনো এমপির লোক, কখনো ওসির লোক, কখনো স্থানীয় কাউসিন্সলরের লোক আবার নগরীর আতংক হাজি সাহেবের লোক হিসেবেও পরিচয় দিয়ে সকল ধরণের অপরাধ চালিয়েই যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, টহল পুলিশ আর থানা পুলিশেরকে নিয়মিত এবং মান্থলির ভিত্তিতে মাসোযারা প্রদান করেই চলছে এই অপরাধ সাম্রাজ্য। আর এই পুলিশের অসাধু চক্র এই অপরাধীদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় ধর্ষণের মতো ঘটনার ঘটিয়ে গ্রেফতার নাটক মঞ্চায়নের পর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে জামিনে বেড়িয়ে ফের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে তানভীরকে ওরফে টুন্ডা তানভীর ।
এই পেশাদার অপরাধী জিমখানা এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী আলোর পুত্র। জিমখানা বস্তিতে ভাসমান অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে এই আলো বেগম বিয়ে করে ২নং বাবুরাইলের আরেক মাদক কারবারী আলেকজান্ডার ওরফে আলীজানের সাথে । আলো বেগমের বাবার নাম আলী হোসেন । জিমখানার সরকারী জমি দখল করে পরোটার দোকানের অন্তরালে জমজমাট চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের কারবার। আলী হোসেনের চার পুত্রের মধ্যে সাহাদাৎ, শাহ আলম, আলম চান ও লালচান। পুরো পরিবারই মাদক কারবারসহ সকল অপরাধের সাথে জড়িত। নগরীর জিমখানা ছাড়াও জল্লারপাড়া বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করলেও মূলতঃ এই জিমখানা বস্তিতেই তাদের অপরাধের আখড়া। আলো বেগম ও তার পুত্র তানভীরসহ সোহেল, আকাশ, আল আমিন, শহিদুল, হাবু বিরামহীনবাবে অপরাধ কর্মকন্ড চালিয়েই যাচ্ছে ।
Discussion about this post