নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার নিঝু (৩০) মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী বাদল কে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ।
গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া রেললাইন এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এমন মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের স্বামী ও মা রহস্যজনক আচরণ করছে বলেও প্রত্যাক্ষদর্শী অনেকেই বলেছেন । পরিবারের দাবি, সাততলা ভবনের ছাদে হাঁটতে গিয়ে সেখান থেকে হয়তো মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে অথবা অন্য কোনোভাবে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। সাদিয়া আক্তার নিঝু শহরের বালুর মাঠ এলাকার ওই ভবনে মা ঝর্ণা হায়দারের সঙ্গে বসবাস করতেন।
সাদিয়ার মা ঝর্ণা হায়দার বলেন, শরীর ক্লান্ত লাগায় সাততলার ছাদে সে হাঁটাহাঁটি করছিল। এসময় হঠাৎ সে নিচে পড়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নুরুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে ঠিক কী কারণে তিনি মারা গেছেন।
নিহতের স্বামী শাহজালাল বাদল বলেন, শাশুড়ির ফোনে জানতে পারি সাদিয়া ছাদ থেকে পড়ে গেছে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়ি থেকে ছুটে গিয়ে দেখি সাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে। আমার স্ত্রী ওর মায়ের বাসায় থাকতো। আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা তদন্তের পর বলতে পারবো।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল। সাত খুনের পর তিনি অনেকদিন পলাতক ছিলেন। বর্তমানে নূর হোসেনের সঙ্গে তার বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্র মামলায় বিচার চলমান।
নাসিক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ২ শাহজালাল বাদলকে আটকের ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে । অনেকেই বলেছেন কুখ্যাত খুনী পরিবারের সদস্য শাহজালাল বাদল ও তার সহযোগরা এতোটাই ধূর্ত যে তারা কখন কি করে বা করতে পারে তা কেউ অনুমানও করতে পারে না । চোখের পলকে ঘাতক নূর হোসেন সাত জনকে খুন করে চাষাড়া রাইফেল ক্লাবে বসে কি নাটক মঞ্চায়ন করতে পারে তা সকলেই জানেন । একই সাথে মুঠোফোনে “আপনি আমার বাপ লাগেন” এমন নাটক মঞ্চায়ন করে নূর হোসেন কি করেছে তা স্পষ্ট । সেই নূর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল বাদলকে কারাগারের ফাসির সেলে বসে মুঠোফোন ব্যবহার করে কি কি অঘটন ঘটিয়েছে তাও এই নগরীর কারো অজানা নয় । সেই শাহজালাল বাদল তার স্ত্রী সাদিয়া আক্তার নিঝু (৩০) কে অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবে খুন করে নাই তার প্রমাণ করবে কে ? গভীর তদন্ত ছাড়া এমন চাঞ্চলকর ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করাও কঠিন । অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ফুলটাইম রাজনৈতিক চক্র সাদিয়া আক্তার নিঝু (৩০) মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিল করবে না তার নিশ্চয়তা কে দিতে পারবে ? এমন মন্তব্য নগরীর সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে।
Discussion about this post