স্থানীয়দের চোখ রাঙ্গানী ও ক্ষমতার দম্ভ করে নানা কর্মকান্ডের খেসারত দিলেন স্বাচিপ নেতা ডাক্তার বিধান চন্দ্র পোদ্দার ।
এমনটি ই বলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলায় দায়িত্বরত ও কর্মরত চিকিৎসকরা ।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ১ মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেলা গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে।
চিকিৎসকদের হামলার শিকার স্বাচিপ নেতা ডাক্তার বিধান চন্দ্র পোদ্দার অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেন, গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেল পরিচিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগারের অডিটরিয়ামে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডাক্তারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা সাংবাদিক, আইনজীবী সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন আসেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে স্বাচিপের তিনজন নেতাও ছিলেন। আমি যেহেতু নারায়ণগঞ্জ স্বাচিপ এর সাধারণ সম্পাদক জেলা বিএমএ এর সহ সভাপতি সেই হিসেবে আমাকে আগে থেকেই খবর দেয়া হয়েছিলো। কেন্দ্রীয় স্বাচিপের মহাসচিব উনি প্রথমে সোনালী ব্যাংকে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে “আমার সাথে একজন আসো তোমরা“ বলার পর আমি তার গাড়ীতে উঠে জেলা গ্রন্থাগারে আসি । গাড়ী থেকে নামার সাথে সাথেই দেখি ডাক্তার সোহেল, ডাক্তার নিজাম, ডাক্তার অলক এবং কয়েকজন ডাক্তার আগে থেকে অবস্থান করছেন। গাড়ী থেকে নামার সাথে সাথেই সোহেল, নিজাম বলে, “তুই এখানে কেন ?“ এ কথা বলেই চার পাঁচ জন আমাকে মারধর শুরু করে। কি কারণে আমাকে মারধর করলো আমি জানি না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকরা বলেন, ডাক্তার বিধান চন্দ্র পোদ্দার নারায়ণগঞ্জে নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছেন। যেমন নারায়ণগঞ্জেন সকল ডাক্তারদের উপর চোখ রাঙ্গান তিনি। নারায়ণগঞ্জে তিনি চারকরী না করলেও ৩শ শয্যা হাসপাতালে তার স্ত্রী ডাক্তার দিপান্বিতার চাকরীর সুবাদে ডাক্তারদের জন্য বরাদ্ধ কারা চারটি কোয়ার্টার (ফ্ল্যাট) দখল করে একটিতে চেম্বার, একটিতে ড্রাইভারের বাসস্থান, একটিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বসবাস এবং আরকে টিতে নিজে বসবাস করছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে । একই সাথে সরকারী এই হাসপাতালের ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতেও নাকি তার বিশাল প্রভাব বিস্তার করে চলেন।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্টাফদের উপর খবরদারী করে নাজেহালের অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার বিধান চন্দ্র পোদ্দার তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে । তাদের এমন কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করে না । তাই ক্ষুদ্ধ হয়ে কেউ কেউ তর্ক বিতর্ক হতে পারে । মারামারির কোন ঘটনা ঘটে নাই বলে দাবী করেছেন ডাক্তার নিজাম ও ডাক্তার সোহেল ।
তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন চিকিৎসক জানান, বিকেল পাঁচটায় এ সভায় যোগ দিতে স্বাচিপের কেন্দ্রীয় মহাসচিব কামরুল হাসান এসে নামেন। এসময় একই মাইক্রোবাসে জেলা স্বাচিপের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মাতুয়াইল শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র পোদ্দারও এসে নামেন। তিনি নামার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা স্বাচিপের আরেক অংশের সভাপতি ডা. আতিকুজ্জামান সোহেলের সঙ্গে স্বাচিপের নেতৃত্ব বিষয়ে তার তর্ক বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি তর্ক বিতর্ক হয় ।
এ ব্যাপারে জেলা স্বাচিপের একাংশের সভাপতি ডা. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সভা করে সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, স্বাচিপ নেতা ডাক্তার বিধান চন্দ্র পোদ্দার মধ্যরাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগটি তদন্ত করছেন উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত করছেন।
Discussion about this post