স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগ সরকার পরিচালনা করছে এক এক যুগেরও বেশী সময় যাবৎ। এই আওয়ামীলীগ তথা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জামায়াত শিবির বরাবরই এই আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করে নানা অপরাধ কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে।
বারবার বিষাক্ত সাপের মতো ছোবল মারছে এই দেশের স্বাধীনতার উপর । আর দেশের রাস্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধুর পরিবারসহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছেদ করতে নানাভাবে চালাচ্ছে চক্রান্ত । রাস্ট্রের বিরোধী নানা চক্রান্ত সব সময় চালিয়ে যাচ্ছে রাজাকার চক্র ও তাদের বংশধররা। সারাদেশে রাজাকারচক্র ও তাদের বংশধরদের দমিয়ে রাখতে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “আমরা রাজাকারদের বংশধরদের কোথাও দেখতে চাই না।” এমন বক্তব্যের পর নাসিক মেয়র ডাঃ আইভী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “একজন রাজাকারের ছেলে কীভাবে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হয় ?“ তেমনি অনেকের প্রশ্ন এই নগরীতে কারা আস্কারা দিচ্ছে এই রাজাকার চক্রের সদস্যদের ।
যে রাজাকারের বাচ্চারা নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে চালাচ্ছে নানা অপকর্ম। চালাচ্ছে আস্ফালন । বীরদর্পে নাারয়ণগঞ্জের শাসক দলের নেতাদের তৈলমর্ধন করে একেকজন রাজােকারের পুত্র ও দোষররা তান্ডব চালাচ্ছে প্রকাশ্যেই।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা শাসক দলের নেতাদের বিশেষ কঠোর আদেশে আদিষ্ট হয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিতে করে কুখ্যাত রাজাকার রফিকের পুত্র মাকসুদ কে জয়ী করতে যা যা করণীয় তার সব কর্মকান্ডই সম্পন্ন করে উচ্ছিষ্টভোগী কিছু নেতা। এরপর এই রাজাকার পুত্র বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন হয়ে উঠেন বিশাল ক্ষমতাধর। হয়ে উঠে দন্ড মুন্ডের কর্তা ।
এই মাকসুদ হোসেনের অপকর্মের ফিরিস্তি নানান সময় গলমাধ্যমে প্রকাশ হলেও “থোড়াই কেয়ার” করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ । আর নারায়ণগঞ্জের রাজাকার চক্রের হোতাদের হোতা কুখ্যাত অপরাধীরা অধিষ্ট হচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে। আর এই সুযোগে হত দরিদ্র নারী গ্রাম পুলিশকে নিয়েও হয়রানী করছে ওই রাজাকার পুত্র। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে শাসক দলের নেতা আর রাজাকার পুত্রদের কান্ড ঘিরে। এমন সমালোচনায় করে অনেকেই বলেছেন, এই নারায়ণগঞ্জে রাজাকার পুত্রদের আস্কারা প্রদানকারীদের বিচার করা উচিৎ ।”
জানা যায়, ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে গ্রাম পুলিশ জোছনা বেগমকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন নিজের পক্ষে কাজ করতে বলেছিলেন। জোছনা তার নির্দেশ মানেননি। মাকসুদ চেয়ারম্যান হলে তার রোষানলে পড়েন ওই গ্রাম পুলিশ। চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। এভাবে বেতন-ভাতাবিহীন কেটে গেছে ৭ বছর। ফলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন জোছনা।
গতকাল শুক্রবার বন্দর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিজের জীবনের দুর্বিষহ দুঃখের এসব কথা তুলে ধরেন গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্য।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জোছনা বলেন, ইউপি নির্বাচনে মাকসুদ চেয়ারম্যান আমাকে তার পক্ষে মাঠে কাজ করার কথা বলেন। তার কথায় রাজি না হওয়ায় তিনি নির্বাচিত হয়েই পরিষদে প্রবেশে বাধা দেন। এরপর বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। বন্দর থানায় নিয়মিত হাজিরা দিয়েও সাত বছর ধরে আমি কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। বেতন না পেয়ে আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এর তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, বিএম কুদরত এ খুদার আগের ইউএনও শুক্লা সরকারের সময়ে জোছনা বেগম বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। শুক্লা সরকার সে সময় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে মুছাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post