তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে প্রতি মাসেই সরকারী লক্ষ্যমাত্রা সমুন্বত রাখতে অভিযান নামক নাটক প্রায়ই মঞ্চায়ণ করে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা । যারা নিজেদেরকে অত্যান্ত সাধু এবং সৎ ব্যাক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের গুণকীর্তন শুনতে এবং বরতে পাছন্দ করেন ।
সেই সেই নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে হাজারো অভিযোগ থাকলেও এই দপ্তরের কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, আমেদের কি করার আছে ? ঘুষ খেতে তো বাধ্য আমরা ! নইলে চাকরীই করতে পারবো না। জেলার শীর্ষ কর্তা বলেন ঘুষ আপনিও খান আমাকেও দেন ! আবার ক্ষমতাধর নেতারা বলেন, “ঘুষ খাবেন না তো কোন মিল কারখানা, ইটভাটা, নিষিদ্ধ কল কারখানায় সাড়াসী অভিযান চালাতে পারবেন না ! সাড়াসী অভিযান চালালে অন্ততঃ নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারেবন না। যেহেতু কোন কোন কর্তা ঘুষ খায়, তার প্রমাণ কি সহজেই রাখা যায় ? ঘুষ লেনদেনের কোন প্রমাণ থাকে না বলেই চলছে ঘুষ । আর যাহান্নামে যাক পরিবেশ । তাতে কার কি আসে যায় !“
এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট একজন কর্তা ।
জানা যায়, আবারও বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) রেকর্ড করা হয়েছে ৩১৭, যা বাতাসের মান অনুসারে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাতাসের মান অনুসারে ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আজ সকালের তালিকায় ১৯৬ ও ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। এগুলো সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
Discussion about this post