সিদ্ধিরগঞ্জে রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাসের আগুনের বিস্ফোরণের দগ্ধ স্ত্রীর মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন স্বামী মো. জসিম উদ্দিন (৪৫)।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।
জানা যায়, জসিম স্ত্রীসহ সিদ্ধিরগঞ্জে উত্তর ধনকুণ্ডায় একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তিনি পেশায় বাসচালক ছিলেন।
গত সোমবার ভোররাতে রান্নাঘরে দিয়াশলাই জ্বালালে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে স্ত্রী আফরোজা আক্তার দগ্ধ হন। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জসিম, মেয়ে জয়া (১৩) ও ছেলে জুনায়েদও (৭) দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিলে বিকেলে আফরোজা মারা যান। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল দুপুরে মারা যান জসিম। হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন আছে জয়া। আর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঘটনার দিনই বাড়ি ফিরেছে শিশু জুনায়েদ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, জসিমের স্বজনরা মরদেহ বিনা ময়নাতদেন্ত দাফনের আবেদন করায় তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আফরোজার বড় ভাই মফিজ প্রধান জানান, ওই এলাকার নাজমুল মিয়ার তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে আফরোজা স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। জসীম হানিফ পরিবহনের বাসচালক। গতকাল ভোরে স্বামীর জন্য রান্না করতে ওঠেন আফরোজা। রান্নাঘরে গিয়ে দেশলাই জ্বালাতেই রুমের ভেতর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আফরোজার পুরো শরীর এবং ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, রাতে সবাই ঘুমানোর আগে রান্নাঘরে চুলার চাবি বন্ধ করেননি। এতে সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর জমাট বেঁধে ছিল। ভোরে চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালে গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের দগ্ধ মো. জসিম উদ্দিন (৪৫) মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Discussion about this post