২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে চেকপোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় অবসর নেয়া সেনা সিনহাকে হত্যাকন্ডের পর তৎকালীন পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ সারাদেশের সকল চেকপোস্ট বন্ধ করে দেন এক অলিখিত আদেশে । এমন ঘটনার দুই বছর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক ও সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা, ডেমরা সূলতানা কামাল সেতুসহ জেলার একাধিক এলাকায় পুলিশের কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চেকপোস্ট দুটিতে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চলাচলরত কোনো ব্যক্তির আচরণ কিংবা গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাকে তল্লাশি করছে পুলিশ। এছাড়া প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিকশাসহ দূরপাল্লার বাসগুলোকে থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে তল্লাশি করে সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত কিছু পায়নি পুলিশ।
জেলা পুলিশের অনেক কর্মকর্তাগণ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরেছি একটি গ্রুপ মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য আমরা মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। প্রয়োজনের ভিত্তিতে মহাসড়কে চেকপোস্ট বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, আমাদের পক্ষ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকার ঢাকামুখী লেনে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোনো যানবাহনে অবৈধ মালামাল থাকতে পারে কিংবা অস্ত্র থাকতে পারে তাই সকাল থেকে আমাদের তল্লাশি চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কিছু পাইনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বিএনপির কোনো প্রোগ্রামে বাঁধা দেইনি। কেউ যদি নাশকতা করার পরিকল্পনা করে তাহলে তো সে পুলিশের তল্লাশি ভয় পাবেই। আমরা তো নির্দিষ্ট করে কোনো গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছি কিংবা গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি এমন তো না। এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। চেকপোস্ট বসানো আজতো নতুন না। আমরা মাঝেমধ্যে মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি। সম্প্রতি আদালত চত্বর থেকে কিছু জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এ মাসে বিজয় দিবস, থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। সাধারণত যেকোনো ইভেন্ট থাকলে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি।
Discussion about this post