নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রখ্যাত জুয়ারি বড় শাজাহান। সেই শাজাহান এখন জুয়ার বোর্ড বসিয়েছে কুতুবপুরে। প্রায় সময় জুয়ারি শাজাহানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও কোনো মতোই থামানো যাচ্ছে না শাজাহানের জুয়ার আসর।
একটি সুত্র জানায়, নামদারি যুবলীগ নেতা আরমান হোসেন, রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও জামালের নেতৃত্বে কুতুবপুর ইউনিয়নে দেলপাড়া পেয়ারা বাগান এলাকায় আরমানের অফিসের পাশেই জুয়ারি শাজাহান জুয়ার আসর বসিয়েছে।
লোকালয়ের অন্তরালে কয়েক সাপ্তাহ ধরে চালিয়ে যাচ্ছে এ জুয়ার আসর। আরমানের অফিসে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা অনেক ছবি রয়েছে। তাদের সাইনবোর্ড দিয়েই আরমান সব অপকর্ম করে।
জুয়ার বোর্ড চালানোর বিষয়টি এলাকার স্থানীয় কিছু যুবক টের পেয়ে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের টাকা পয়সা দিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করে। এসময় ঘটনা স্থলে সাংবাদিক উপস্থিত হলে সাংবাদিকদেরও টাকা পয়সা দিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করে যুবলীগ নেতা আরমান।
এক পর্যায়ে জুয়ারি শাজাহান উত্তেজিত হয়ে বলেন, এখানে জুয়ার বোর্ড চালায় সবাই জানে প্রশাসনকে টাকা দেয়। আর আপনি নিউজ করে কি করবেন নারায়ণগঞ্জের সব সাংবাদিক আমাকে চিনে। এই পেশায় টোকাই থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের লোকারেও টাকা খায়।
আর সাংবাদিক বা সম্পাদকের বাবার কোনো ফ্যাক্টরি নাই দৈনিক আড়াইশ টাকা খরচ করে কালার পত্রিকা বের করবে আমার মতো কিছু মগাদের টাকা দিয়েই চলে। আবার ১০ জন সাংবাদিক চালায় টাকা পায় কই, এই জগতে পুলিশ এক দিকে টাকা খায় আর সাংবাদিক একদিকে টাকা খায়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ এ জুয়ার আসর এখানে চলাতে এলাকায় ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধ বেড়েই চলছে। শিক্ষার্থীরা এসব অপরাধ কর্মকান্ডের শিকার হচ্ছে। এলাকার শান্তি শৃংখলা বিঘ্ন ঘটছে। তাদের দাবি দ্রুত এ জুয়ার আস্তানা উচ্ছেদ করা হউক।
Discussion about this post