সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
অদৃশ্য শক্তির কারণে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এএসআই আব্দুর রহিম সাড়ে তিন বছর ধরে বহাল রয়েছেন।
এসময় থানায় অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা বদলী হলেও তিনি দীর্ঘসময় কিভাবে এ থানায় রয়েছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে তাকে দুবার বদলীর আদেশ দেওয়া হলেও তিনি অদৃশ্য শক্তির কারণে বারবার এ থানায় রয়ে গেছেন এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।
এর আগে এএসআই আব্দুর রহিমকে গত ৮ অক্টোবর ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে জনস্বার্থে তাকে মানিকগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়। যার অফিস আদেশ নং-১০২৩।
পরবর্তীতে গত ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক আদেশের মাধ্যমে তাকে মানিকগঞ্জ থানায় বদলী আদেশ দেওয়া হয় যার স্মারক নং- ৭৭৫৬।
এদিকে গত ২৫ অক্টোবর পুনরায় তাকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বদলীর আদেশ দেওয়া হয় যার স্মারক নং-৮২০১/১(১৩)।
অথচ বদলী আদেশের ৬ দিন পরও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এখনো কর্মরত রয়েছেন। জানা যায়, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় থাকার জন্য বদলী ঠেকাতে উপরের মহলে নানা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এমন ঘটনায় খোদ পুলিশের কয়েকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ তেলচোর, গ্যাস চোর, অটো রিকশার চাঁদাসহ নানা ধরণের অপরাধীদের কাছ থেকে মাসোয়ারা আদায় করে আসছে ক্যাশিয়ার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত এএসআই রহিম। ওসির ছাড়াও বিভিন্ন কর্মকর্তাদের জন্য অপরাধীদের কাছ থেকে বিশ্বস্থতার সাথে উৎকোচ লেনদেন করার কারণে তাকে বদলী করা হয় না সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে। আর ওই মাসোয়ারা আদায় করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছও বনে গেছেন তিনি । নইলে কি মধু আছে এই সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ? সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সরকার বেতন ভাতা ও রেশন দেয় আর অন্য কোন থানায় কি সরকার বিনা বেতনে কাজ করায় (!)? যার কারনে এই থানায় ই ঘুরে ফিরে থাকতে হবে এএসআই রহিমের ?
Discussion about this post